গুনগুন এবং সৌজন্যের পাহাড়-ভ্রমণ
‘‘প্যাক আপ!’’ ব্যস, তার পরেই যে যার মতো বাড়ির পানে। শহরের স্টুডিয়োয় শ্যুটিং মানেই তো এই এক রুটিন। তাতেই বিরতি নিতে হাওয়া বদল ‘খড়কুটো’ পরিবারের। পিকনিকের মেজাজে কাজ চলছে। সঙ্গে পাহাড়ে ঘোরাঘুরিও পুরোদমে। এই কয়েক দিন ‘প্যাক আপ’-এর পরে কেউ কাউকে বিদায় জানাচ্ছেন না। বরং একসঙ্গে ফিরছেন হোটেলে। হাত মুখ ধুয়ে, খেয়ে দেয়ে তার পরে দেদার আড্ডা। সেই মাঝরাত অবধি!
কালিম্পংয়ে কলরব! স্টার জলসা মাতিয়ে রাখা গুনগুন, সৌজন্য, পটকা, চিনি, সাজি, মিষ্টি, ঋজু, রূপাঞ্জন সদলবলে পাহাড়ে। ধারাবাহিকের গল্পে এখন মুখোপাধ্যায় পরিবার ছুটি কাটাতে গিয়েছে পাহাড়ে। এই সুযোগে কৌশিক রায়, তৃণা সাহা, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, রাজা গোস্বামী, প্রিয়াঙ্কা মিত্র, সোনাল মিশ্র, দেবোত্তম মজুমদার, রাজন্যা মিত্রদের পায়ের তলায় সর্ষে!
আনন্দবাজার অনলাইনকে ‘গুনগুন’ ওরফে তৃণা জানালেন, সাত দিনের জন্য আউটডোর শ্যুটে গিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার বিমান এবং ট্রেন মিলিয়ে মোট ৬০ জন কলাকুশলী কালিম্পং পৌঁছেছেন। শুক্রবার ক্যামেরা ছিল বন্ধ। সে দিন ছুটির মেজাজে ঘুরে বেরিয়েছে গোটা দল। শনিবার সকাল থেকে পাহাড়ে ঘুরে ঘুরেই কাজ চলছে।
শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই তৃণা বললেন, ‘‘স্টুডিয়োয় কাজ হলে সারা দিন আড্ডা মারার সুযোগ পাওয়া যায় না। এখানে কাজ শেষ হতেই সকলে মিলে কারও ঘরে বসে জমিয়ে গল্প শুরু হচ্ছে। অভিনেতা-অভিনেত্রী বা কলাকুশলীরা একইসঙ্গে আড্ডা মারছেন। কেউ কাউকে আলাদা করে দিচ্ছেন না। এটিই এই দলের বৈশিষ্ট্য। ছোট-বড় সবাই মিলে মধ্য রাত পর্যন্ত গল্প করছি। পরের দিন শ্যুট থাকছে বলে ভোরের দিকে একটু ঘুমোচ্ছি।’’
কৌশিককে দিয়ে ছবি তোলানো নাকি ‘মুশকিল হি নেহি, না মুমকিন হ্যাঁয়’। তবু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন গুনগুন। অম্বরীশ এবং তৃণার জেদের পাল্লায় পড়ে পাহা়ড়ি প্রেক্ষাপটে ছবি তুলতে বাধ্য হয়েছেন কৌশিক। আরও কিছু ছবি তোলাবেন বলে স্থির করেছেন তৃণা।
জমাটি ঠান্ডা, শীত-পোশাকের ওম, জংলা ফুলের গন্ধে ম ম। পাহাড়ের নেশায় মেতে আনন্দে কাজ করছে ‘খড়কুটো’ পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy