রক্তাক্ত পহেলগাঁও। মঙ্গলবার দুপুরে কয়েক মুহূর্তে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে কাশ্মীর। তার পর থেকেই গোটা দেশ ত্রস্ত। কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকেরা তড়িঘড়ি ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন মঙ্গলবার থেকেই। এই সময় উপত্যকায় পর্যটকদের ভিড় জমে। তাই কাশ্মীর থেকে ফেরার বিমানের টিকিটের চাহিদাও এখন তুঙ্গে। সেই সুযোগ নিচ্ছে বিমান সংস্থাগুলি। তাই এ বার বিমান সংস্থার উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে কাশ্মীরে আটকে পড়া পর্যটকেরা ভীত ও সন্ত্রস্ত। যেনতেনপ্রকারেণ উপত্যকা থেকে ফেরার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু এর মধ্যেই বিমানের টিকিটের দাম বেড়েছে হু হু করে। তাই কয়েকটি বিমান সংস্থার টিকিটের দামের ছবি সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন স্বস্তিকা। খোঁচা দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, “অসহায় মানুষগুলোকে নিংড়ে নে। এই তো সুযোগ।”
স্বস্তিকার এই পোস্টের সঙ্গে সহমত তাঁর অনুরাগীরা। এই বিপদের মুহূর্তে কী ভাবে টিকিটের দাম এই ভাবে বাড়তে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে নিন্দকের সংখ্যাও কম নয়। এক নিন্দকের কথায়, “আসল বিষয় নিয়ে কথা না বলে টিকিটের দাম নিয়ে কথা বলছেন?” এই মন্তব্যে অবশ্য কান দেননি স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন:
এই একই পরিস্থিতি বুধবার তুলে ধরেছিলেন অভিনেতা তথা বামনেতা দেবদূত ঘোষ। তাঁর বড়ভাই পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। সেখান থেকে ফিরতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের। তার কারণ, আচমকাই বেড়ে গিয়েছে টিকিটের দাম। এই পরিস্থিতিতে টিকিটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
দেবদূত বলেছেন, “ওখানে ওঁরা সবাই খুব আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একসঙ্গে ফেরার টিকিট পাচ্ছেন না। তাই ভাগ ভাগ করে ফেরার চেষ্টা করছেন। কাশ্মীর থেকে সরাসরি কলকাতা ফেরার টিকিটের দাম প্রায় ৩৩ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। তাই সরাসরি না এসে দিল্লি হয়ে কলকাতা ফেরার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তার জন্যও ২২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এই বিপদের মুহূর্তে বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তো কিছু করা উচিত। তারা কী করছে?”