সোহিনী সরকার
বুধবার সকাল থেকে চার দিকে হই হই! বিকেল ৪টে পর্যন্ত তর সইছিল না কারও। টলি-পাড়ার কোন কোন শিল্পী যোগ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে, সেই নিয়ে প্রশ্নের ছড়াছড়ি চারদিকে। নেটমাধ্যম জুড়ে নানা জল্পনায় জর্জরিত টলিউডের কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বিশেষ করে তাঁরা, যাঁরা আদপেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা মাথাতেও আনেননি। তাঁর মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, সোহিনী সরকার প্রমুখ। সন্ধ্যেবেলা যখন বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকাদের তালিকা সামনে এল, আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হল সোহিনী সরকারকে। তাঁর সামনে একটাই প্রশ্ন, আজ পর্যন্ত তাঁকে কোনও দিন কোনও দলীয় রাজনীতি নিয়ে মুখ খুলতে পর্যন্ত দেখা যায়নি সে ভাবে, তার পরেও তাঁর নাম জড়ানোর কী কারণ?
কাল রাত থেকে জ্বরে ভুগছেন সোহিনী। শরীর ভাল নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে। কিন্তু ওঠার পরে তিনি স্তম্ভিত। ফোনে অন্তত ২৫টা কল এসেছিল, যা তিনি ধরতে পারেননি। কারণ বুঝতে পারার পর থেকে তিনি নিজেও ধোঁয়াশায়। তাঁর মনে এই একই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, ‘আমার সঙ্গে বিজেপি-র নাম জড়াল কী ভাবে!’
অভিনেত্রী তাঁর পেশা নিয়ে ব্যস্ত। একের পর এক ছবির নাম তাঁর ক্যালেন্ডারে। গত মাসে মন্দারমণিতে অনির্বাণ ভট্টাচার্য পরিচালিত ছবি ‘মন্দার’-এর শ্যুটিং করে এলেন সোহিনী। এ ছাড়া প্রেমিক রণজয়ের সঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছিলেন শহরের বাইরে। নির্বাচনের এই ডামাডোলের মধ্যে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না কোনও দিনই। তাঁর মতে, ‘‘এঁরা প্রত্যেকেই আমার সহকর্মী। তাঁদের মধ্যে এই অদল-বদলের প্রবণতাকে মেনে নিতে পারছি না। কিন্তু এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত।’’
তবে কিছু দিন আগে গেরুয়া-বাহিনীর তরফে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও সায়নী ঘোষকে যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল, সে বিষয়ে অল্প কথায় তাঁর মনোভাব বুঝিয়ে ছিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপিকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এখন যা সময় এসেছে কিছু বলতেই ভয় করে। কিছু একটা বললেই, তাতে মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। তার পর মামলা রুজু করে দেবে। মানুষের ভাবাবেগটা বড্ড ঠুনকো হয়ে গিয়েছে আজ কাল। কথায় কথায় ভেঙে পড়ে যাচ্ছে।’’
তিনি এ প্রসঙ্গে জানালেন, আকাশ নেই, পাতাল নেই— কোনও ভিত্তি ছাড়া তাঁর নাম জড়ানোয় তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন। কোনও দিন দলীয় রাজনীতির দিকে পা বাড়াবেন না তিনি। এ ছাড়া সকলের কাছে তাঁর বিশেষ অনুরোধ, ‘‘আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি কিনা, এটা জানার জন্য দয়া করে আমাকে কেউ ফোন করবেন না।’’ তাঁর কথা সূত্রে জানা গেল, আজ থেকে না, বহু বছর ধরেই রাজনীতিতে যোগদান করার জন্য প্রস্তাব এসেছে তাঁর কাছে। কিন্তু প্রতি বারই সোহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি রাজি নন।
শেষে অভিনেত্রীর বক্তব্য, তাঁর সম্পর্কে যে বা যারাই এই তথ্যটি রটিয়েছে, তারা সোহিনী সরকারকে চেনে না, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy