বিবাহবিচ্ছিন্নারা খোরপোশ নেবেন, নাকি নেবেন না? অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু এবং ধনশ্রী বর্মা সম্প্রতি এই তর্ক উস্কে দিয়েছেন। বিনোদন দুনিয়ায় বিয়ের মতো আকছার বিচ্ছেদও ঘটে। সর্বশেষ উদাহরণ ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চহল, অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী ধনশ্রী বর্মা। বিচ্ছেদের পর ভরণপোষণ হিসেবে নৃত্যশিল্পী ৪.৭৫ কোটি টাকা চান। এক দল অনুরাগী সে খবর জেনে সমাজমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর হন। তাঁদের দাবি, জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে শিল্পী যেন নিজের দৈন্য প্রকাশ করেছেন। আরও প্রশ্ন, মাত্র ১৮ মাসের দাম্পত্য কাটিয়ে আদৌ কি মোটা অঙ্কের খোরপোশ দাবি করা সঙ্গত?
এই প্রেক্ষিতেই আরও এক বার প্রচারের আলোয় সামান্থা। অনুরাগীরা তাঁর করা পদক্ষেপ আবারও ফিরে দেখেছেন। চর্চায় উঠে এসেছে, সামান্থার ২০০ কোটি টাকার ভরণপোষণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান! এই পদক্ষেপ করতে তিনি নাকি দ্বিতীয় বার ভাবেননি। প্রসঙ্গত, ২০১৭-য় দক্ষিণী তারকা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। ২০২১-এ এসে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অনুরাগীদের দাবি, সামান্থার মতো আত্মসম্মান সব নারীর থাকা উচিত। সামান্থা নিজের দায়িত্ব নিজে নেওয়ার মতো শক্ত মনের অধিকারিণী। তাই ২০০ কোটি টাকার লোভ তাঁকে ছুঁতে পারেনি। নিজের ইচ্ছায় স্বাধীন ভাবে বাঁচবেন বলেই অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ, দাবি অনুরাগীদের।
আরও পড়ুন:
ফিল্মি দুনিয়ার অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, মোটা অঙ্কের ভরণপোষণ সামান্থাকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আক্কিনেনি পরিবার। সামান্থা সেই সময় বিচ্ছেদের কারণে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। যার থেকে পরে শারীরিক ভাবেও প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর বিছানা থেকে ওঠার অবস্থা ছিল না। নিজেকে সামলাতে সেই সময় তিনি নাগার সাহচর্য এবং ভালবাসা চেয়েছিলেন, যা তিনি পাননি। খবর, এর পরেই নাকি খোরপোশ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এ দিকে, মোটা অঙ্কের খোরপোশ নিয়ে ক্রিকেটার এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।