অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না রাধিকা আপ্তের। ছবি: সংগৃহীত।
মা হতে চলেছেন রাধিকা আপ্তে। ছবিতে চরিত্র বাছাই করা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত রাখা— প্রতি ক্ষেত্রেই ছক ভেঙেছেন অভিনেত্রী। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণাও কিছুটা ব্যতিক্রমী কায়দায় করেছেন তিনি। লন্ডনের এক চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই প্রকাশ্যে আসে তাঁর স্ফীতোদরের ছবি। তবে এই খবর গোপনই রাখতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন রাধিকা।
২০১১ সালে ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী এবং সুরকার বেনেডিক্ট টেলরের সঙ্গে লন্ডনে একত্রবাস শুরু করেন রাধিকা। পরের বছর জানা যায়, আইনি বিয়ে সেরেছেন তাঁরা। বিয়ের ১২ বছর পর অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু সন্তান নিয়ে তাঁদের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন, এই খবর না কি প্রথম দুই সপ্তাহ মেনে নিতেই পারেননি তিনি।
রাধিকা স্পষ্ট জানান, তিনি বা তাঁর স্বামী কোনও ভাবেই পরিবার পরিকল্পনা করেননি। প্রথম কয়েক দিন কী কী শারীরিক সমস্যা হয়েছিল, তা নিয়েও কথা বলেছেন রাধিকা। পেট ফেঁপে ওঠা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় প্রথম ১৩ সপ্তাহ জেরবার ছিলেন রাধিকা। সব সময় বমি বমি ভাবও থাকত বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
শারীরিক সমস্যা থাকলেও কাজ থেমে থাকেনি অভিনেত্রীর। টানা তিন মাস ৪০ ডিগ্রি গরমে ছবির শুটিং করছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “গরমে গলে যাওয়ার মতো অবস্থা হত সব সময়। খুব কষ্ট হত। সবাই বলত আমার সব সময়ে আনন্দে থাকা উচিত কারণ, আমি মা হতে চলেছি। যাঁরা বলতেন তাঁদের মুখে ঘুষি মারতে ইচ্ছে করত। ওদের বলতাম, ‘আমি যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছি, আর তোমরা খুশি থাকতে বলছ!’”
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে বলে জানান রাধিকা। তিনি বলেন, “অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে কী কী হয় এই সব নিয়ে কখনই ভাবিনি। শরীরে কী পরিবর্তন আসে, তা-ও জানার চেষ্টা করিনি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর্ব যে খুব কঠিন ও কষ্টকর, তা আসলে কেউ বলে না। এই সফর মোটেও মজা করে কাটানো যায় না। কিছু মানুষের হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। তবে, সন্তানধারণ করা খুব কঠিন বিষয় এবং শরীরে মারাত্মক পরিবর্তন আসে।”
এই কষ্ট নিয়েই দু’টি ছবির কাজ করেছেন অভিনেত্রী। একটি ছবিতে শুটিং করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে সন্তানের জন্ম দেবেন রাধিকা ও বেনেডিক্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy