সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় আর দেবলীনা দত্ত প্রেমে? ছবি: ফেসবুক।
মঙ্গলবার সৌম্যর জন্মদিন গেল। ঘরোয়া আয়োজন, ঘরোয়া ভাবেই উদ্যাপন। গুটিকয়েক ইন্ডাস্ট্রির মানুষ। কেক কাটা, খাওয়াদাওয়া— এই তো। সামান্য এই আয়োজন করতে গিয়ে কম কটাক্ষের শিকার হলাম আমরা? কেন উদ্যাপন করলাম! তার মানে, আমরা এত দিন ধরে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে লোক দেখানো বিপ্লব করলাম? তাতে ধুনো দিয়েছে সৌম্যের জন্য আনানো জন্মদিনের কেক। কেকের উপরে লেখা ছিল ‘জাস্টিস’। ব্যস, তাতেই যেন আগুনে ঘি পড়েছে!
কেউ এক বারও জানতে চাইলেন না, কেন কেকের উপরে ‘জাস্টিস’ লেখা ছিল?
আমি, সৌম্য, চৈতি ঘোষাল, ঋষভ বসু— এই কয়েক জন মাত্র প্রতিবাদী মুখ এখনও টিকে রয়েছি। আমরা যে আরজি কর-কাণ্ড ভুলিনি, আমাদের শয়নে-স্বপনে-জাগরণে প্রতিবাদ জড়িয়ে তা বোঝাতেই এই পদক্ষেপ। একই সঙ্গে নিজেদের আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলাম, যে এই প্রতিবাদ, এই অন্যায় ভুললে চলবে না। লোকে বুঝলেনই না। না বুঝে দু’দিন ধরে সমাজমাধ্যমে যা নয় তাই লিখে গেলেন। ওঁদের আপত্তি আমাদের উদ্যাপন নিয়েও। সৌম্যর বোন আমাদের এই কয়েক জনের সঙ্গে নামজাদা ভাস্কর নারায়ণ সিংহকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। চৈতিদি সেই সব ছবি দিতেই কটাক্ষের বানভাসি।
তবে একটা ভাল ব্যাপার দেখলাম। যাঁরা এখনও আরজি কর-কাণ্ডকে ভোলেননি তাঁরা আমাদের হয়ে পাল্টা বক্তব্য রেখে চলেছেন। অর্থাৎ, আমরা কোণঠাসা নই। একই ভাবে এত দিন যাঁরা আমার আর সৌম্যর প্রেম নিয়ে বিস্তর মাথা ঘামিয়েছেন, জন্মদিনের ছবি দেখার পরেও তাঁদের কোনও হেলদোল নেই! অর্থাৎ, এ বার তাঁদের বোধোদয় হয়েছে, আমি-সৌম্য শুধুই বন্ধু। লিঙ্গভেদের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের এই বন্ধুত্ব। বাস্তবিকই তাই। সৌম্যর সঙ্গে কেন আমার এত বেশি ভাল সমঝোতা জানেন? আমি যেমন তথাগত মুখোপাধ্যায়কে ছেড়ে বেরোতে পারলাম না, সৌম্যও তাই।
সৌম্য এখনও ওর প্রাক্তন প্রেমিকাকে মনে করে তার জন্মদিনে নিজের বাড়ি সাজায়! ঠিক যে ভাবে সৌম্যর জন্মদিনে ওর ঘর সাজিয়ে দেয় সৌম্যের বোন। উপহারও কেনে। পাঠায় না, নিজের কাছে রেখে দেয়। এ ভাবেই ও প্রেমে আছে। মাথাও ঘামায় না, প্রেমিকা অন্য কারও বাহুলগ্না কিনা! ঠিক আমারই মতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy