নব্যা, সারা,ইরা
কাজের জগতে ছাপ ফেলার আগেই তাঁরা পারিবারিক গরিমার আলোয় উজ্জ্বল। তবে এই পারিবারিক কৌলীন্য যতটা আলোকময়, ততটাই আঁধারে ঢাকা। বয়স অল্প হলেও, পরিবার-সমাজ ও পারিপার্শ্বিক তাঁদের অনেকটা পরিণত করে তুলেছে। সম্প্রতি মানসিক অবসাদ নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খানের কন্যা ইরা, অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নব্যা নভেলি নন্দা। মাসদুয়েক আগে গায়ের রং নিয়ে বৈষম্যমূলক অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা। সব রকম সুযোগ-সুবিধায় অভ্যস্ত এই তারকা-কন্যাদের অবসাদের কারণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক জল্পনা। মধ্যবিত্ত মানসিকতা ছুঁতে পারে না তাঁদের ভাবনার তল। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে দুনিয়ার সামনে তাঁরা তুলে ধরছেন চিন্তাভাবনার দোলাচল। তৈরি করছেন যুবসমাজের জন্য দৃষ্টান্ত।
গত এক মাস ধরেই ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন আমির-কন্যা ইরা। নিজেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন সে কথা। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের কটাক্ষ, ছোট বয়সে বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে ইরার মনে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আমিরের কন্যা জানিয়েছেন, তাঁর বাবা ও মায়ের (রিনা দত্ত) বিচ্ছেদ শান্তিপূর্ণ ছিল। বিচ্ছেদের পরে ইরা ও তাঁর ভাই জুনেদের দায়িত্বপালনে কোনও ত্রুটি রাখেননি আমির ও রিনা। তাই এই বিচ্ছেদ তাঁর অবসাদের কারণ নয় বলেছেন ইরা।
এই প্রসঙ্গেই মনে করা যেতে পারে, সেফ আলি খান ও অমৃতা সিংহের কন্যা সারার বক্তব্য। তাঁর ডেবিউ ছবি ‘কেদারনাথ’-এর প্রচারে এবং তার পরেও তিনি বারবার সম্মুখীন হয়েছেন সেফ-অমৃতার বিচ্ছেদ সম্পর্কিত প্রশ্নের। সারা বরাবরই বলেছেন, ‘‘দু’জন মানুষের অনিচ্ছাসত্ত্বেও এক ছাদের নীচে থাকতে হবে, এমন কোনও কথা আছে কি? তাঁরা নিজেরা খুশি না থাকলে সন্তানের খুশির দায়িত্ব নেবেন কী ভাবে?’’ সারার বেড়ে ওঠায় তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কোনও কুপ্রভাব ছিল না বলেই তাঁর মত।
অন্য দিকে ডিপ্রেশন নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ্যে এনেছেন শ্বেতা বচ্চনের কন্যা নব্যাও। নিজের কমিউনিটি হেলথ প্ল্যাটফর্মের লঞ্চ অনুষ্ঠানে নব্যা বলেন, ‘‘অনেক সময়েই এমন হয়েছে যে, আমি বুঝতে পারছিলাম অবসাদের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু সেটা নিয়ে কথা বলার তাগিদ অনুভব করিনি বা সমাধানের জন্য উদ্যোগী হইনি। সম্প্রতি আমি থেরাপি করিয়েছি, যার কথা আমার পরিবার জানে। কিন্তু বন্ধুদের বলিনি। এখন আগের চেয়ে স্বস্তিজনক জায়গায় রয়েছি মনে হয়।’’সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অকাল মৃত্যু মানসিক স্বাস্থ্যের প্রশ্নটিকে গত কয়েক মাসে বড় প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। তবে কর্মজগতে পা রাখার আগে, এই তারকা-কন্যারা যে ভাবে তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে সরব, তা আগামী প্রজন্ম সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy