অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
পাহাড়ের কোলে শুটিং। থাকার ব্যবস্থা হয়েছে এলাকারই একটি গেস্ট হাউসে। কিন্তু রাত গড়াতেই হাতির হামলা। শুটিং করতে গিয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়।
শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব সিরিজ় ‘ইন্সপেক্টর নলিনীকান্ত ২’। ‘নন্দিনী’ নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমৃতা। স্বামীর সঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় বাস নন্দিনীর। পাহাড়ের কোলে এক বিলাসবহুল বাড়িতে তাদের সংসার। তাই সিরিজ়ের অধিকাংশ শুটিং হয়েছে ডুয়ার্সের তাকদা অঞ্চলে। সেখানেই নানা রকম রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী।
অমৃতা জানান, হাতির কবলে পড়তে পড়তেও বেঁচেছিলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “আমি যে দিন ডুয়ার্সে গিয়ে পৌঁছই, তার এক দিন আগে শুটিং শুরু হয়েছে। গিয়ে শুনি, রাতে নাকি একটি হাতি এসেছিল। গেস্ট হাউসের পাশেই রয়েছে কলাবাগান। তাই হাতি চলে আসে। এমনকি, হাতিটি নাকি গেস্ট হাউসের দেওয়াল পর্যন্ত ভেঙে দিয়ে যায়। আসলে জঙ্গলের এক থেকে দেড় কিলোমিটার ভিতরে ছিল লোকেশন। সকলে বিষয়টা নিয়ে খুব ভয়ে ছিলেন। হাতি যাতে আর না আসে তাই কলাগাছগুলি কেটে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়।”
শুটিংয়ে পৌঁছে এই ঘটনা শুনে ভয় পেয়েছিলেন অমৃতাও। তবে আর কোনও দিন হাতি হানা দেয়নি। যদিও গন্ডার এবং চিতাবাঘ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। অভিনেত্রীর কথায়, “দীর্ঘ ক্ষণ ধরে শুটিং চলেছে আমাদের। সেই সব সেরে আমাদের চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে ফিরতে হত। কলাকুশলীদের মধ্যে কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা বলতেন, ‘সাড়ে আটটা বেজে গিয়েছে। এমনিতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু মাঝেমধ্যে গন্ডার ও চিতাবাঘ বেরোয় এই রাস্তায়।’ ওঁরা অবশ্য বিশেষ ভয় পান না। কারণ ওঁদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। বাইকে যাতায়াত করেন। আমাদের সঙ্গেও গাড়ি ছিল। কিন্তু আমরা তো জঙ্গল ভ্রমণে যাইনি। তাই মনের মধ্যে ভয় তো ছিলই। তবে সবটা পেরিয়ে শুটিংটা যে নির্বিঘ্নে হয়েছে, এটাই বড় কথা।”
উল্লেখ্য, সৌমিক চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিরিজ়ে অমৃতা ছাড়াও অভিনয় করেছেন রজতাভ দত্ত, সুপ্রভাত দাস, ছন্দক চৌধুরী-সহ আরও অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy