বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম থেকে পরাজয়ের পরে গত নভেম্বরে টুইটে শ্রাবন্তী বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপি আন্তরিক নয়। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবের অভাব রয়েছে তাদের।’ ওই মাসেই বাসন্তীতে শাসক দলের চার বিধায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাঁকে।
শ্রাবন্তীকে কটাক্ষ তথাগতর
বন্যপ্রাণীকে শৃঙ্খলিত করায় ইতিমধ্যেই আইনি সমস্যায় জেরবার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। বিপন্মমুক্ত হওয়ার আগেই ফের বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের কটাক্ষের শিকার শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে আচমকাই নিন্দনীয় ভাষায় টুইট বিজেপি নেতার। টুইটে লিখেছেন, ‘শ্রাবন্তীই সবচেয়ে চালাক। যা দেওয়ার অকাতরে দিয়েছে। যা পাবার পেয়েছে। তার পর পেশায় প্রত্যাবর্তন। বাই বাই রাজনীতি।’
তথাগতর অবশ্য এই ধরনের মন্তব্য নতুন নয়। তখন বিজেপিতে শ্রাবন্তী, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র। বিধানসভা নির্বাচনের সময় দোলযাত্রায় মদন মিত্রের সঙ্গে চার নায়িকা রং খেলেছিলেন। তখনও একই ভাবে অভিনয় পেশাকে কটাক্ষ করে নিন্দনীয় ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার ফের তোপ দাগার কারণ কী? বিজেপি থেকে ক্রমশ নেতারা দলত্যাগ করছেন। প্রত্যাবর্তন করছেন শাসকদলে। সাম্প্রতিক উদাহরণ জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁদের এই পদক্ষেপেরই সমালোচনা করেছেন অসমের প্রাক্তন রাজ্যপাল।
শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, মুকুল, জয়প্রকাশ। সকলেরই এক routine। দিন তিনেক স্টেজে উঠে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া, তারপর নিস্তরঙ্গ জীবন। এর মধ্যে শ্রাবন্তীই সবচেয়ে চালাক। যা দেবার অকাতরে দিয়েছে, যা পাবার পেয়েছে, তারপর পেশায় প্রত্যাবর্তন, বাই বাই রাজনীতি !
— Tathagata Roy (@tathagata2) March 9, 2022
তাঁর দাবি, ‘শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, মুকুল, জয়প্রকাশ। সকলেরই এক রুটিন। দিন তিনেক স্টেজে উঠে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া। তার পর নিস্তরঙ্গ জীবন!’ তার পরেই শ্রাবন্তী সম্বন্ধে তাঁর আলাদা বক্তব্য। বহরমপুরে পুরভোট উপলক্ষে সেখানকার তৃণমূল প্রার্থীর রোড শো-তে অংশ নেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক চর্চায় অভিনেত্রী। খবর, সেখানেই তিনি নাকি জানিয়েছেন, তিনি জোড়াফুলেই আছেন!
বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম থেকে পরাজয়ের পরে গত নভেম্বরে টুইটে শ্রাবন্তী বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপি আন্তরিক নয়। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবের অভাব রয়েছে তাদের।’ ওই মাসেই বাসন্তীতে শাসক দলের চার বিধায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাঁকে। শাসক দলের শওকত মোল্লা সে দিন দাবি জানিয়েছিলেন, এই মঞ্চেই তিনি নাকি ঘাসফুল হয়ে ফুটতে চলেছেন নতুন করে! শ্রাবন্তীও সে দিন শাসক দলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তাঁকে ডাকলে আবারও তিনি আসবেন। তার পরেই পুরভোটের আগে তৃণমূলের প্রচারে সামিল তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy