অমৃতা সিংহ ও সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
স্বামী হিসাবে কতটা খারাপ বার বার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হত। নিজের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে পর্যন্ত দেখা করার সুযোগ পেতেন না। এক সাক্ষাৎকারে অমৃতা সিংহের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সইফ আলি খান। আজ তিনি করিনা কপূর খানের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন। কিন্তু একটা সময়ে সাংসারিক কলহে দিন কাটত তাঁর।
মাত্র ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেন সইফ। স্ত্রী অমৃতার বয়স তখন ২৭। ১৩ বছর স্থায়ী হয় তাঁদের দাম্পত্য। তার পরে তিক্ততার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ। তৎকালীন সময়ে এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছিলেন, সন্তানদের খরচের জন্য অর্থ পাঠান তিনি। নিজের রোজগারের সবটাই নাকি তাঁকে সন্তানদের দিয়ে দিতে হয়। এমনকি নিজের বাড়ি থেকে পর্যন্ত নাকি তাঁকে বার করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন অমৃতা।
সইফ বলেছিলেন, “অমৃতাকে আমার পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। তার মধ্যে অর্ধেক টাকা আমি ওকে দিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়াও ছেলের ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে আমি এক লক্ষ টাকা করে পাঠাচ্ছি। আমি তো শাহরুখ খান নই। আমার ওর মতো টাকা নেই। আমি অমৃতাকে কথা দিয়েছি, ওকে বাকি সব টাকা দিয়ে দেব। মরে গেলেও ওকে সমস্ত টাকা দিয়ে দেব। বিজ্ঞাপন করে অথবা মঞ্চের শো করে যা টাকা অর্জন করেছি সব বাচ্চাদের জন্য দিয়ে দিচ্ছি। আমার কাছে আর টাকা নেই।”
তিনি আরও বলেছিলেন, “বাচ্চাদের সঙ্গে আমাকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওদেরকেও আমার কাছে আসতে দেওয়া হয় না। আমার ব্যাগে ছেলে ইব্রাহিমের একটা ছবি আছে। যত বার ওর ছবি দেখি কান্না পায়। সারার কথাও খুব মনে পড়ে।”
তবে কালের নিয়মে জীবন এগিয়েছে। এখন প্রায়ই মেয়ে সারা আলি খান ও ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ও দিকে করিনার সঙ্গেও তাঁর সংসারে এসেছে দুই সন্তান— তৈমুর ও জেহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy