রুদ্রজিৎ-প্রমিতা
দিন যত এগিয়ে আসছিল, ততই হৃদস্পন্দন বাড়ছিল তারকা যুগলের। অনুরাগীদেরও তর সইছিল না, কবে ‘যুগল’ থেকে ‘দম্পতি’তে পরিণত হবেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়-প্রমিতা চক্রবর্তী?
প্রেম দিবসে অবশেষে চার হাত এক হল পুরুলিয়ায়।
সকালে তাঁদের প্যালেটে কোন রঙের ছড়াছড়ি? আনন্দবাজার ডিজিটালকে পাঠানো ছবি বলছে, যুগল অনায়াস জমাটি কালো পোশাকে। একই রঙের ব্লেজার আর গাউনে প্রি ওয়েডিং ফোটোশ্যুট দিয়ে ডেস্টিনেশন এনগেজমেন্ট আর আইনি বিয়ের দিন শুরু...।
বিকেলে সেই রং বদলেছে ওয়াইন কালারে। পোশাকে, কেক কাটা থেকে আংটি বদল হয়ে আইনি কাগজে সই-- সব কিছুতেই রুদ্র-প্রমিতা ‘বন্ধনহীন গ্রন্থি’তে বেঁধে বেঁধে থেকেছেন। অনুষ্ঠানের মঞ্চে তখন হাজার ফুলের মেলা। আতসবাজির চোখ ধাঁধানো ঝলকে, গোলাপের পাপড়ি-বৃষ্টিতে পুরোটাই যেন স্বপ্নময়!
তার পরেই ছন্দপতন। নতুন বিয়ের গন্ধ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই নবদম্পতি ঘোর বাস্তবে। শহর কলকাতার পথে ফিরতে ফিরতে ফোনে হালকা আফসোস প্রমিতার গলায়, ‘‘ভাল করে বিয়ে উপভোগ করতে পারলাম কই! তার আগেই কাজের তাড়ায় ফিরছি। রুদ্রর শ্যুটিং শুরু হয়ে যাচ্ছে। ছুটি ফুরলো, নটে গাছটিও মুড়োলো।’’
একই সঙ্গে এও জানাতে ভুললেন না, ‘‘ভেবেছিলাম, অনেক ঝঞ্ঝাটে হয়ত পড়তে হবে শহর ছেড়ে দূরে এসে। সে সব কিচ্ছু হয়নি। সবটাই কী ভীষণ সুন্দর ভাবে মিটে গেল!’’
এ বার গুছিয়ে সংসার? হইহই করে উঠলেন প্রমিতা, ‘‘কাজ, সংসার দুটোই চলবে পাশাপাশি। এক্ষুণি রুদ্রের মা-বাবা যেহেতু আমাদের কাছে আসতে পারছেন না, তাই আমরা দু’জনে নতুন সংসারে। ফলে, সংসার সামলানোর সঙ্গে কাজটাও থাকবে।’’
কী বলছেন রুদ্র? নতুন বৌয়ের মজার উত্তর, ‘‘কপাল চাপড়াচ্ছে! বলছে, ব্যাচেলর লাইফ খতম। সমস্ত স্বাধীনতা শেষ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy