‘তুমি হাসলে আমার ঠোঁটে হাসি, তুমি আসলে জোনাকি রাশি রাশি’... নিজের জীবনে জনপ্রিয় বাংলা ছায়াছবির গানের এই দুটো পঙ্ক্তির সামান্য বদল ঘটিয়েছেন দীপক পাণ্ডে। স্বঘোষিত অভিনেতার কথায়, নদীর কলকল ধ্বনিতে তিনি পুনম পাণ্ডের নূপুরের নিক্কণ শুনতে পান! চুড়ির কিঙ্কিণির মতোই মিঠে অভিনেত্রীর কণ্ঠস্বর। পুনম তাঁর স্বপ্নসুন্দরী। তাই আচমকা তাঁকে সামনাসামনি দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি, চুম্বন করেছেন। দীপকের কথায়, “আমি পুনমকে ভালবাসি!”
চুম্বন-কাণ্ডের দিন দুই পরে অভিনেত্রীকে ঘিরে নিজের অনুভূতির কথা প্রথম প্রকাশ্যে জানালেন দীপক। নিজস্বী তোলার আবদার জানানোর পর পুনমের গালে তিনিই চুম্বন করেছিলেন। দীপকের পাল্টা জিজ্ঞাসা, “এতে দোষ কোথায়? স্বপ্নে যাঁর নিত্য যাওয়া-আসা, তাঁকে বাস্তবে কাছাকাছি পেলে তো এ রকমই কিছু ঘটবে!” তাই নিজের আচরণ নিয়ে বিন্দুমাত্র সঙ্কুচিত নন। নস্যাৎ করেছেন পূর্বপরিকল্পিত (স্ক্রিপ্টেড) ঘটনার কথাও। দাবি, আগাম প্রস্তুতি থাকলে এর চেয়েও আরও বেশি কিছু হত হয়তো।
আরও পড়ুন:
দিন দুই আগে নিজস্বী তোলার বায়না নিয়ে পুনমের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এক পুরুষ অনুরাগী। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকেরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। এই ধরনের আচরণের প্রতিবাদ জানান। বিকেলের মধ্যে ঘটনার পট পরিবর্তন। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, দীপককে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। তিনি পুনমের বন্ধু। পুনম ক্যানসারে ‘আক্রান্ত’ হওয়ার মতো এই বিষয়টিও পূর্বনির্ধারিত। চর্চায় থাকার কারণেই নাকি বন্ধুকে দিয়ে এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন পুনম। সঙ্গে সঙ্গে সহানুভূতি বদলে যায় ধিক্কারে। ছবিশিকারিদের প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি আর এক অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া। তিনি ক্যানসার-কাণ্ড মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “ও বেচারি তো মৃত!”
সকলে মিলে পুনমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই আর চুপ করে থাকতে পারেননি দীপক। নিজের ভালবাসার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “কবে পুনমও আমায় প্রেমের দৃষ্টিতে দেখবে, সেই অপেক্ষায় আছি।”