চঞ্চল চৌধুরী গৃহবন্দি? ছবি: ফেসবুক।
সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল ছবি বদলে গিয়েছে। এত দিন সেখানে হয় তিনি, নয় তাঁর অভিনীত ছবি। সেখানে জ্বলজ্বল করছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। এ-ও শোনা যাচ্ছিল, তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতা (ফেসবুক) নাকি কিছু দিন নিষ্ক্রিয় ছিল। এ সবের মধ্যেই বুধবার সন্ধ্যায় হুলস্থুল, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বাংলাদেশে গৃহবন্দি। দেখতে দেখতে আগুনের মতো ছড়িয়ে যায় সেই খবর। এ পার বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, বড় পর্দার ‘মৃণাল সেন’ নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিলেন। বিমানবন্দরে নাকি তাঁর সফর বাতিল করে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। নিজের বাড়িতে নজরবন্দি থাকতে হবে তাঁকে।
খবরের সত্যতা যাচাই করতে আনন্দবাজার অনলাইন ও পার বাংলার বিনোদন দুনিয়ার একাধিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কেউই সদুত্তর দিতে পারছিলেন না। কারও দাবি, বিনোদন দুনিয়ার কমবেশি প্রায় প্রত্যেকেই নাকি এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কারও মত, দিন কয়েক আগেও নাকি চঞ্চলের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। এর পরেই মধ্যরাতে চঞ্চল হোয়াট্সঅ্যাপে আনন্দবাজার অনলাইনকে লিখে পাঠান, “আমি নিরাপদে আছি, ওগুলো মিথ্যে খবর।” এর বেশি আর কোনও মন্তব্যই করেননি তিনি।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন অভিনেতা। তখন থেকেই নাকি তাঁকে নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে অসন্তোষের সূত্রপাত। যদিও তিনি ১৭ জুলাই তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধেই মতপ্রকাশ করেছিলেন। লিখেছিলেন, “সমাধানের অন্য কোনও পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হল? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না?” খবর, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর নাকি পরিস্থিতি জটিল হয়। ৯ অগস্ট চঞ্চল সমাজমাধ্যমে লেখেন, “পেশাগত কারণ ছাড়া কোনও কিছুর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy