Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
entertainment

কাজে ব্যস্ত, তবু অবসাদে ভুগছেন সুদীপা! কেন?

‘‘মন ভাল করার খুব ভাল টোটকা, পছন্দের কাজে ডুবে যাওয়া। আমি সেটাই করি’’, স্বীকার করলেন ‘রান্নাঘর’-এর কর্ত্রী।

সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২১ ১৮:৪০
Share: Save:

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে, ভারি সুন্দর একটি শাড়ি, গয়নায় নিজেকে সাজিয়ে মডেলিং করছেন তিনি। অনুরাগীরাও তেমনটাই ভেবেছেন। তার ছাপ স্পষ্ট মন্তব্য বিভাগে। আসল ঘটনা কিন্তু অন্য। অবসাদে ভুগছেন অগ্নিদেব-গিন্নি। যে কথা লুকিয়ে রয়েছে সামাজিক পাতায় ভাগ করে নেওয়া ছবির ক্যাপশনে, সে কথা তিনি নিজে খোলাখুলি জানিয়েছেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে। কেন তিনি অবসন্ন? যুক্তি, করোনায় স্তব্ধ অভিনয় দুনিয়ার অর্থনৈতিক বিপর্যয় তাঁকে ভাবাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রির খেটে খাওয়া মানুষদের দুরবস্থা মনখারাপ করে দিচ্ছে তাঁর। এত কঠিন সময় সত্যিই তিনি এর আগে এ ভাবে দেখেননি! তারই ছায়া পড়েছে ছবির ক্যাপশনে।

কী ভাবে? কী লিখেছেন সুদীপা? সবার উদ্দেশ্যে তাঁর ছোট্ট বার্তা, ‘কোনও কিছু ছেড়ে যাওয়ার কথা মাথায় এলেই ভাবতে হবে, কেন শুরু করেছিলাম?’ ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালিকাও কি খারাপ সময়ের মুখোমুখি? সুদীপা জানালেন, ‘‘ছোট পর্দার দৌলতে আমি বসে নেই। কিন্তু সিনেমার সঙ্গে জড়িত শিল্পীদের জীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি।’’ দাবি, তাঁর জানা এমন অনেক পরিবার আছে যাদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম বড় পর্দা। তাঁদের দিন চলবে কী ভাবে? এই চিন্তা তাঁকে ভাল থাকতে দিচ্ছে না।
সুদীপা অনুভূতিপ্রবণ। পরিবেশ, পরিস্থিতি, ভাল-মন্দ ছুঁয়ে যায় তাকে। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গতকালই তিনি এক বন্ধুর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কথা শোনার পরেই ভেঙে পড়েছেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কঠিন সময়।

চাইলেও বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে পারছি না। অবসাদে ভোগার জন্য এটুকুই যথেষ্ট।’’ অবসাদ যেমন আছে, অবসাদ মুক্তির উপায়ও জানা আছে সুদীপার। তখন হয় তিনি বই খুলে বসেন নয়তো মেতে ওঠেন সূচের কাজে। ‘‘মন ভাল করার খুব ভাল টোটকা, পছন্দের কাজে ডুবে যাওয়া। আমি সেটাই করি’’, স্বীকার করলেন অকপটে। ভানু (সারমেয়), ছেলে আদিদেব চুপচাপ বসতেই দেয় না তাঁকে।
ফের করোনা ফিরছে। আবারও হয়তো লকডাউন হবে। কী পরামর্শ দিচ্ছেন সুদীপা? ইনস্টাগ্রামের ক্যাপশন বলছে, মন খারাপের পাশাপাশি হাল না ছাড়ার কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, "খারাপ সময় পেরিয়ে যেতেও কিছু সময় লাগে। খারাপের পরেই কিন্তু ভাল আসে।" এই ইতিবাচক মন নিয়েই সুদীপা দিন কাটাবেন স্বামী, সংসার আঁকড়ে। সংসারের হাল ধরবেন শক্ত হাতে। যাতে অসময়ে ভাঁড়ারে টান না পড়ে। যুক্তি, ‘‘আগে অগ্নিদেবকে এত কাছে পেতাম? নাকি আদির সঙ্গে খেলার সময় পেতেন তার বাবা!’’ করোনা না এলে এই ইতিবাচক ঘটনাও যে ঘটত না, জানাতে ভুললেন না ‘রান্নাঘর’-এর কর্ত্রী।

অন্য বিষয়গুলি:

Actress TV Anchor entertainment Sudipa Chatterjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE