অনামিকা চক্রবর্তী।
কী করেননি তিনি! নাচ, ফ্যাশন শো, চাকরি— সব করেছেন ‘হিয়া’ ওরফে অনামিকা চক্রবর্তী। কেবল অভিনয়টাই কোনও দিন করতে চাননি। আজ সেই তিনিই জনপ্রিয় তারকা। ফি-দিন সোশ্যাল পেজে অনুরাগীদের একটাই চাওয়া, ‘কবে অভিনয়ে ফিরবেন অনামিকা? হিয়ার জন্য সবার বড্ড মন খারাপ।’
বুধবার ইনস্টাগ্রাম পেজে খুব অল্প সময়ের জন্য লাইভ এসেছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, নতুন বছরে নতুন ভাবে ফিরছেন। ছোট পর্দায় নয়, বড়পর্দায়। জানুয়ারি থেকে শ্যুট শুরু হবে। এ-ও জানিয়েছেন, ‘এখানে আকাশ নীল’-এর দিনগুলো মিস করছেন তিনিও।
কী ভাবে লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ার মানুষ হয়ে উঠলেন তিনি? সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোয়ে অনামিকা জানিয়েছেন, ‘আমার মামা আমাকে বলেছিল, একটা অডিশন হচ্ছে। তুই কি যাবি?’ অনামিকা সটান জানিয়েছিলেন, না। তাঁর অভিনয়ের প্রতি একটুও আগ্রহ নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে কলকাতা ফিরলেন জয়া আহসান, শুরু করলেন নতুন কাজ
তার পরেও মামা জোর করে অডিশনে নিয়ে যান। অনামিকার কথায়, ‘ওখানে সবাই আমাকে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করে দিল। তার পরেই রাস্তায় নিয়ে চলে গিয়েছিল অডিশন দিতে! ক্যামেরা, লাইট রেডি। আমায় সবাই বললেন, ডায়লগ বল!’ চারপাশে লোকের ভিড়। নার্ভাস হয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন তিনি। ওই অবস্থাতেই কোনওক্রমে সংলাপ বলেছিলেন। ঘাবড়ে যাওয়া অনামিকাকেই পরিচালকের পছন্দ হয়েছিল বেশি। ফলাফল, ২০১৪-য় ‘রাজযোটক’ ধারাবাহিকে তাঁর প্রথম অভিনয়।
অনামিকা বিচ্ছেদের সন্তান। খুব ছোটবেলায় মা-বাবা আলাদা। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বাবাকে দেখেছেন হাতেগোনা, ‘বড়জোর দুই কি তিন বার। আসলে, জন্মের পর থেকেই আমি একবার মামাবাড়িতে, একবার বাবার বাড়িতে। এক বার দেখা হওয়ার বছর তিনেক পরে হয়ত আবার বাবাকে দেখেছি। ফলে, টান কোনও দিনই ছিল না বাবার প্রতি’, অকপট অভিনেত্রী।
অভিনয়ে আসার আগে এক বছর বেঙ্গালুরুতে চাকরিও করেছেন। পিঠে হাড়ের সমস্যার চিকিৎসার জন্য দক্ষিণে গিয়েছিলেন। ‘চিকিৎসা করাতে গিয়েও বসে থাকিনি। এক বছর চাকরি করেছি কর্পোরেট সেক্টরে। যে বন্ধুর বাড়িতে ভাড়া থাকতাম সে-ই কাজের সন্ধান দিয়েছিল। কারণ, কাজ ছাড়া চুপচাপ থাকতেই পারি না’,হাসতে হাসতে বলেছেন অনামিকা।
আরও পড়ুন: শাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ করিনা, কেন?
বিউটিশিয়ান মা তাঁর একমাত্র মেয়েকে বড় করেছেন অনেক কষ্টে। মামাবাড়িতে বড় হওয়া অনামিকা তাই ছোট থেকেই বুঝেছিলেন, তাঁকে কিছু করতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে খুব তাড়াতাড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy