উপযুক্ত চরিত্র পেলে যে জান লড়িয়ে দিতে পারেন, তা বুঝিয়ে দিলেন শেখর সুমনের পুত্র। ছবি: সংগৃহীত।
কিছু দিন আগে ইন্ডাস্ট্রির স্বজনপোষণ এবং নানা বৈষম্য নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন অধ্যয়ন সুমন। পছন্দমতো চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ ‘ইনস্পেক্টর অবিনাশ’-এ নিজেকে প্রমাণ করলেন অধ্যয়ন। উপযুক্ত চরিত্র পেলে যে জান লড়িয়ে দিতে পারেন, তা এ বার বুঝিয়ে দিলেন শেখর সুমনের পুত্র।
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ় ‘ইনস্পেক্টর অবিনাশ’-এ কোকেন-আসক্ত এক রাজনীতিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অধ্যয়ন। চরিত্রের প্রয়োজনে চেহারায় পরির্বতন আনতে, অনেকটা ওজন বাড়াতেও দ্বিধা করেননি।
নিজের চরিত্রটি সম্পর্কে অধ্যয়ন বলেন, “শশিভূষণ চরিত্রটির জন্য আমি ওজন বাড়িয়েছি। একটি রাজনৈতিক পরিবারের উগ্র, জেদি, বখে যাওয়া, ড্রাগ-আসক্ত চরিত্র এটি।” চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্যই চেহারায় কিছু বদল আনতে হয়েছে অধ্যয়নকে, ওজন বাড়াতে হয়েছে ৯ কেজি।
অধ্যয়নের কথায়,“নেশাখোরের চেহারায় যে রুক্ষতা থাকে, সেটা নিজের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম। চোখের নীচে একটা ফোলাভাব আনতে সামান্য মেকআপ ছিল। আমার ধারণা, চরিত্রে এটা বাড়তি মাত্রা সংযোজন করেছে।”
সম্প্রতি অধ্যয়নের ‘ওয়ানা বি উইথ ইউ’ গানটিও মুক্তি পেয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রায় ৩০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ পেতে প্রতিষ্ঠাকামীদের যেমন বড় বড় লোকের সঙ্গে মেলামেশা করার পরামর্শ দেওয়া হয়, অধ্যয়নকেও তেমনটাই উপদেশ দেওয়া হয়েছিল। শেখর-পুত্রের কথায়, “অনেকেই আমাকে বলত, ‘যাও না ভাই, ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের সঙ্গে মেশো, পার্টি করো’। আমার প্রশ্ন হল, পার্টি করার সঙ্গে কাজ পাওয়ার কী সম্পর্ক?”
তথাকথিত সংযোগ বজায় রাখার পদ্ধতি নিয়ে আশাবাদী নন অধ্যয়ন, তবে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যান তিনি। নিজের লক্ষ্য উঁচু তারে বেঁধেছেন বলেই জানান।লোকের কথায় ওঠাবসা করতে গিয়ে নিজেকে ‘কুকুর’ বলে মনে হয়েছে অধ্যয়নের। তাই বেশি দিন মান খুইয়ে সে কাজ করতে পারেননি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিজের অতীতের লড়াইয়ের গল্প ফাঁস করেছিলেন অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy