রুদ্রনীল, অর্পিতা, তনুশ্রী, আবির ফাইল চিত্র
সব আছে, কিন্তু কিছু একটা যেন নেই। সেই না পাওয়াগুলোর খোঁজে বেরল কয়েকটি চরিত্র। বোঝা গেল, সেই না পাওয়াটার সমাধান রয়েছে ২০ বছর আগের সময়টাতে। কোনও পরোয়া না করার সময়টাতে। সেই পাগলামি করার সময়টাতে। সেই কানে তালা লেগে যাওয়ার মতো কলরবের সময়টাতে। সেই সময়টার সন্ধানে একই পথে এসে মিলল কয়েক জন পুরনো বন্ধু।
স্কুল জীবন পেরিয়ে গিয়েছে। কলেজ জীবনও পেরিয়ে গিয়েছে। চাকরি-বাকরি, ঘর-সংসারের জালে জড়িয়ে প্রত্যেকেই। সব রয়েছে তাঁদের জীবনে। টাকা পয়সা, সুখ-শান্তি কোনও কিছুর অভাব নেই। কিন্তু রয়ে গিয়েছে ওই একটা অপূর্ণতা— যা কিনা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর ভরাট করা যায় না। এটা ঠিক যে, সেই সময়টাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। কিন্তু ফিরে দেখা তো যায়। বছর ২০ পরে একসঙ্গে হলেন তাঁরা।
আর তার পর? পূর্ণ হবে তাঁদের ‘রিইউনিয়ন’-এর ইচ্ছা? যদি হয়, তার পরে পাল্টে যাবে তাঁদের জীবন? তার পরেরটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে নতুন ছবি ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-এর জন্য। এই চরিত্রগুলির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা করলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং রুদ্রনীল ঘোষ। এ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তানিকা বসু, পূষন দাসগুপ্ত, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়, স্বাগতা বসু, আর্যা দাসগুপ্ত, দিব্যাশা দাস, অরিত্র দত্ত বণিক, রাজর্ষি নাগ প্রমুখ। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব বর্তেছে রণজয় ভট্টাচার্যের কাঁধে। এবং ক্য়ামেরায় চোখ রাখছেন প্রতীপ মুখোপাধ্য়ায়।
নীলার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। গৃহবধু নীলার জীবনে সব রয়েছে। সে নিজের জীবন নিয়ে অখুশি নয়। কিন্তু ওই একটা ফিরে যাওয়া আকাঙ্ক্ষা ভিতরে ভিতরেই জন্মায় আবার মরে যায়, ফের জন্মায় আর মরে যায়। আনন্দবাজার ডিজিটালকে তনুশ্রী জানালেন, ‘‘আমার কলেজের দুই বান্ধবীর কথা মনে পড়ে। তাঁরাও গৃহবধু এই নীলার মতোই। জীবনে সব রয়েছে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন নিজের অস্তিত্বকে আর গুরুত্বই দেন না তাঁরা। আর তাঁদেরকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছি নীলার মধ্যে দিয়ে।’’
পরিচালক শ্রীমন্ত সেনগুপ্তর প্রথম ছবি এটি। এর আগে তিনি বম্বের একাধিক বড় প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই ছবির গল্পটি তাঁর জীবন থেকে খুব একটা আলাদা নয়। বহু বছর হয়ে গেল কাজের সূত্রে শহর-ছাড়়া তিনি। তাঁরও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে স্কুল-কলেজের জীবনে। আর সেই অনুভূতি থেকেই এই ছবির গল্প তাঁর মাথায় আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy