আমিরের আক্ষেপ, রীনা বা কিরণ এবং তাঁর সন্তানদের তিনি সময় দিতে পারেননি। অনেকখানি সময় ধরে কেবল তাঁর কাজে মন দিয়েছেন তিনি। আমির বললেন, ‘‘আমি ভাবতাম, দর্শকদের কাছাকাছি থাকতে হবে। তাঁরাও আমার পরিবার। এই ভেবে ভেবে কখন যে নিজের পরিবারকে অবহেলা করে ফেলেছি, জানি না। ওরা যে বাড়িতে অপেক্ষা করছে, সে কথা ভুলেই গিয়েছি।’’
প্রাক্তন দম্পতি কিরণ-আমির
১৫ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন আমির খান এবং কিরণ রাও। কিন্তু বন্ধুত্ব আগের মতোই আছে। ছেলে আজাদকে একসঙ্গে বড় করে তোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তাঁরা। সে কথা আগেও নেটমাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করার সময়েই জানিয়েছিলেন প্রাক্তন-দম্পতি। এ বারে বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে মুখ খুললেন ‘লাল সিংহ চড্ডা’।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আমির বললেন, ‘‘কোনও সমস্যা ছিল না আমাদের মধ্যে। কিন্তু একটা সময়ের পর বুঝতে পারলাম, স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের সম্পর্কে বদল এসেছে। সেটা আর আগের মতো নেই। দু’জনেই বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে অসম্মান জানাতে চাইনি। এবং একে অপরের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা থাকায় এই সিদ্ধান্ত।’’
আমির জানালেন, তাঁরা কেবল বন্ধু নন, একই পরিবারের অংশ। তাই কখনও আলাদা হওয়ার কথা ভাবতেই পারবেন না কিরণ-আমির। ছাদ আলাদা হয়ে গেলেও কাছাকাছি বাড়ি নিয়ে থাকেন।
প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়েও অকপট আমির। তিনি জানালেন, কিরণের জন্যেই রীনার সঙ্গে কোনও দিন আলাদা হননি আমির।
এ দিকে কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখের সঙ্গে আমিরের সম্পর্ক নিয়ে নানাবিধ গুঞ্জন ছিল। বিচ্ছেদের পর সেই গুঞ্জন আরও গতি পায়। ‘দঙ্গল’ ছবিতে অভিনয় করার পর থেকেই ফতিমাকে নিয়ে আমির খানের সম্পর্কের গুজব শোনা গিয়েছিল বলি পাড়ায়। ‘দঙ্গল’ ছাড়াও ‘ঠগস অব হিন্দুস্তান’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দুই তারকা। অনেকের ধারণা হয়, আমির তৃতীয় বিয়ে করতে চলেছেন ফতিমার সঙ্গে।
সে প্রসঙ্গ তুলে আমির বলেন, ‘‘রীনার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়ের অন্য কোনও নারী ছিল না আমার জীবনে। কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়েও আমি কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াইনি।’’
আমির জানালেন, ২০ বছর আগে ‘লগন’ ছবিতে কাজ করার সময়ে কিরণের সঙ্গে আলাপ বটে, কিন্তু প্রেম হয়েছে রীনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে। একই ভাবে কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের নেপথ্যে অন্য কোনও নারী নেই।
সোমবার আমির ৫৭ বছরে পা দিলেন। এখন পিছনে ফিরে তাকালে তাঁর আক্ষেপ, রীনা বা কিরণ এবং তাঁর সন্তানদের (প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দুই সন্তান, ইরা এবং জুনেইদ। কিরণ এবং আমিরের একমাত্র ছেলে আজাদ।) তিনি সময় দিতে পারেননি। অনেকখানি সময় ধরে কেবল তাঁর কাজে মন দিয়েছেন তিনি। আমির বললেন, ‘‘আমি ভাবতাম, দর্শকদের কাছাকাছি থাকতে হবে। তাঁরাও আমার পরিবার। এই ভেবে ভেবে কখন যে নিজের পরিবারকে অবহেলা করে ফেলেছি, জানি না। ওরা যে বাড়িতে অপেক্ষা করছে, সে কথা ভুলেই গিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy