আমিরের তিন সন্তান জুনেইদ, ইরা ও আজ়াদ। মাস কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে আমির জানিয়েছিলেন, ছেলেমেয়েরা নাকি মোটেই পাত্তা দেন না তাঁকে। তারকা সন্তান হয়েও আমির তিন ছেলেমেয়েই যেন অন্যদের তুলনায় আলাদা। ইতিমধ্যেই দু’টি ছবি করে ফেলেছেন আমিরের বড় ছেলে জুনেইদ। ‘মহারাজা’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক। এ বার আসছে জুনেইদ ও খুশি কপূর অভিনীত ‘লভইয়াপ্পা’। নায়ক হয়ে যাওয়ার পরও জুনেইদের পা থাকে মাটিতে। পিঠে সর্ব ক্ষণ স্কুল ব্যাগ, চলাফেরা করেন অটো রিকশায়। নেপথ্যের কারণে জানতে চাইলেন ফারহা খান।
‘লভইয়াপ্পা’ ছবির প্রচারের সময় জুনেইদের কাছে খুশি জানতে চেয়েছিলেন সর্ব ক্ষণ পিঠে ব্যাগ বয়ে বেরান কেন ? সাধারণ বলিপাড়ার তারকা হোক কিংবা তাঁদের সন্তানরা তাঁদের ব্যাগ বয়ে দেওয়ার দায়িত্ব থাকে সহযোগীর উপর। তবে জুনেইদের তেমন কেউ নেই। তাই নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে নিয়ে বয়ে বেড়ান। জুনেইদ বলেন, “আমার চুলের জন্য ড্রায়ার, মুখ ধোয়ার সরঞ্জাম, ফোনের চার্জার, এ ছাড়া টাকার ব্যাগ— সব থাকে। সারাদিনের জন্য বাড়ি থেকে বেরোলে এগুলি তো প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন:
এমনিতেই বলিপাড়ার তারকা সন্তানদের শখ-আহ্লাদ বিরাট ও বিচিত্র। বিদেশের পার্টি, দামি পোশাক, দামি গাড়ি ছাড়া খুব একটা দেখা যায় না তাঁদের। সে দিক থেকে ব্যাতিক্রমী আমিরের বড় ছেলে জুনেইদ। ছেলেকে বেশ কয়েকবার গাড়ি কিনে দিতে চেয়েছেন আমির। কিন্তু কান দেননি জুনেইদ। ফারহা তাঁর গাড়িতে চলা ফেরার না করার অনীহার কারণ জানতে চান। তাতে জুনেইদ বলেন, “বাড়িতে অনেকগুলি গাড়ি রয়েছে। চাইলে যে কোনও একটা নিতেই পারি। কিন্তু, আমি আটোতে যাতায়াত করি, কারণ আমার মনে হয় এতে সময় সাশ্রয় হয়। গাড়ি পার্কিংয়ের ঝক্কি পোহাতে হয় না।”