চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পুরস্কার নিচ্ছেন অঞ্জন দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
এক সপ্তাহের কর্মকাণ্ডে ইতি। মঙ্গলবার শেষ হল ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসদনে তখন তিলধারণের জায়গা নেই। প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছিলেন ফলাফলের। সিনেপ্রেমী থেকে শুরু করে নির্মাতাদের মনে একটাই প্রশ্ন, কাদের হাতে উঠবে গোল্ডেন রয়্যাল বেঙ্গল ট্রফি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে হাজির অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, গৌতম ঘোষ, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, চপল ভাদুড়ী, মমতা শঙ্কর, রাজ চক্রবর্তী। বলিউড থেকে হাজির পরিচালক সুধীর মিশ্র এবং অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দরি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিভিন্ন বাংলা গানের মেলবন্ধনে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করলেন নুসরত জাহান, অনন্যা বন্দোপাধ্যায়, রণিতা দাস, দেবলীনা কুমার, লাভলি মৈত্র এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইজরায়েল। চলতি বছরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অর্থাৎ ‘ইনোভেশন ইন মুভিং ইমেজেস’ বিভাগে সে দেশের ছবিই পেল সেরার শিরোপা। এরেজ তাদমোর পরিচালিত ছবিটির নাম ‘চিলড্রেন অফ নোবডি’। এই বিভাগে সেরা পরিচালক হিসেবে ঘোষণা করা হল ভেনেজুয়েলার পরিচালক কার্লোস ড্যানিয়েল মালায়ের নাম ( ছবি: ওয়ান ওয়ে)। এই বিভাগে একমাত্র বাংলা ছবি ‘চালচিত্র এখন’ পেল বিশেষ জুরি পুরস্কার। মঞ্চে পুরস্কার নিতে উঠে ছবির পরিচালক অঞ্জন দত্ত বিচারকমণ্ডলী এবং দর্শকদের ধন্যবাদ জানালেন।
উৎসবে বাংলা প্যানোরামায় সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে রাজদীপ পাল এবং শর্মিষ্ঠা মাইতি পরিচালিত ছবি ‘মন পতঙ্গ’। এই বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘অসম্পূর্ণ’ ছবিটি। এই বছর নেটপ্যাক বিভাগে সেরা ছবি হিসেবে পুরস্কার জিতে নিয়েছে মায়ানমারের ছবি ‘ব্রোকেন ড্রিমস’। পরিচালক মঞ্চে পুরস্কার নিতে উঠে ছবিটিকে সে দেশের মানুষকে উৎসর্গ করেন।
উৎসবে ভারতীয় ভাষার ছবির বিভাগে ছিল তিনটি পুরস্কার। হীরালাল সেন নামাঙ্কিত সেরা ছবি ঘোষিত হয় ‘গোড়াই পাখরি’। অন্য দিকে, ‘অভনি কি কিসমত’ ছবিটির জন্য সেরা পরিচালক হলেন শনেট অ্যান্থনি ব্যারেটো। এই বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার জিতে নেয় হাওবাম পবন কুমার পরিচালিত মণিপুরি ছবি ‘জোসেফস সন’। উৎসবে সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয় ‘চ্যালেঞ্জ’-এর নাম। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি নির্বাচিত হয়েছে ‘লাস্ট রিহার্সাল’ ছবিটি। চলতি বছরের উৎসব যে ভাল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে অনুষ্ঠানে সে কথাই আগত অতিথিদের বক্তব্যেও উঠে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরে নন্দন চত্বরে এসেছিলেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং মুনমুন সেন। শর্মিলা শিশির মঞ্চে তাঁর অভিনীত ‘আউটহাউস’ ছবিটি দেখেন। অন্য দিকে, নন্দনে মৃণাল সেন নামাঙ্কিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মুনমুন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের শেষে নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগের সেরা ছবিটি প্রদর্শিত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy