সংগৃহীত চিত্র।
পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। সংশোধন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন।
কয়েক দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে তিনি আশাবাদী যে পূজোর আগেই চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটবে।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ হাজার ৫২ জনকে নিয়োগ করতে হবে। এই নির্দেশকে মান্যতা দিলে ফের মামলার আশঙ্কা করছে বিকাশ ভবন থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন। জটিলতা এড়াতেই চলতি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএসসি।
শিক্ষক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ প্রাথমিকে ঘোষিত শূন্যপদ রয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৯। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৫২।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৮ অগস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল এক মাসের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জন প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। এবং পরবর্তী এক মাসের মধ্যে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রের খবর, মেধাতালিকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। ১৪ হাজার ৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রায় ১০০-রও বেশি এমন প্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা ইন্টারভিউয়ের পরে তথ্যে গরমিল থাকার জেরে বাদ গিয়েছিলেন। এ ছাড়াও এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের অ্যাকাডেমিক স্কোরে অসুবিধা রয়েছে। দাখিল করা সার্টিফিকেটের সঙ্গে নম্বর মিলছে না। আবার কেউ কেউ বিএড করেছেন নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরে। সর্বোপরি বেশ কয়েক জন এমন প্রার্থীও রয়েছেন, যাঁরা প্রশিক্ষণহীন এবং বয়সসীমা অতিক্রান্ত।
বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি আদালতের কাছে এটি সংশোধন না করায়, তা হলে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। আদালতের কাছে আবেদন করার পরে কবে সংশোধিত নির্দেশ আসবে, তার উপর নির্ভর করবে পুরো প্রক্রিয়া। তা পুজোর আগে বা পরেও হতে পারে।”
ইতিমধ্যেই এসএসসি তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে সবিস্তার আলোচনা করেছে। বিকাশ ভবনের সঙ্গে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনাও হয়েছে। নতুন করে নিয়োগ নিয়ে যাতে কোনও জটিলতা না হয়, তার জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে এসএসসি। ৪ অক্টোবর হয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনে পূজোর ছুটি পড়ছে। তার আগে যদি আদালত সংশোধন করে দেয়, তা হলে পূজোর আগে আরও দু’দিন সময় নিয়ে প্যানেল প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে কমিশনের তরফে। তবে পুরো বিষয়টাই নির্ভর করছে আদালতের উপরব।
উচ্চ প্রাথমিকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী মহিবুল্লা মোল্লা বলেন, “সব কিছুর পর এই ধরনের ভুল কেন হল? কমিশন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। আমরা চাই সময় নষ্ট না হয়ে দ্রুত এর সমাধান হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy