Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Sovan Chatterjee

Bengal Polls: শোভন আর আমার জীবনে নেই, ওঁকে নিয়ে কোনও কথা শুনতে চাই না, মন্তব্য রত্নার

এর আগে, রত্নাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শোভন। সেইসময়ও রত্না জানিয়েছিলেন, শোভন আর তাঁর কেউ নন।

রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়।

রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ১৭:০৯
Share: Save:

কয়েক দিন আগে পর্যন্ত কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষের পালা চলছিল। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে এখন আর কোনও কথা বলতে চান না তিনি। জানিয়ে দিলেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শোভনকে নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে যেমন আগ্রহী নন তেমনই শুনতে চান না শোভনকে নিয়ে কোনও কথা।

দলের নির্বাচনী ইস্তাহার নিয়ে মঙ্গলবার ১২০ নম্বর ওয়ার্ডের রায় বাহাদুর রোডে তৃণমূলের কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রত্না। সেখানে ভোটের ময়দানে শোভনের না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। কিন্তু রত্নার সপাট জবাব, ‘‘শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবেন না আমাকে। তিনি এখন আর আমার জীবনে নেই। শোভনকে নিয়ে কোনও কথাও শুনতে চাই না আমি।’’

বেহালা পূর্বের বিধায়ক হিসেবে এখনও যদিও ইস্তফা দেননি শোভন। কিন্তু প্রায় তিন বছর যাবৎ সেখানকার অভিভাবকের ভূমিকায় নেই তিনি। মাঝে বিজেপি-র হয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এক বার সেখানে ঢুঁ মারলেও, কালো পতাকা দেখে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে।

এমন অবস্থায় স্বামীর কেন্দ্রে প্রচারে নেমে সাধারণ মানুষের প্রশ্নবাণ কী ভাবে সামাল দিচ্ছেন তিনি? তা নিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি? জবাবে রত্না বলেন, ‘‘নিজের সমস্যার কারণেই বিধায়ক আসেননি। তাঁর অভাব পূরণ করেছেন এলাকার ১১ জন কাউন্সিলর। তাঁরাই ঘুরে ঘুরে মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখেছেন। তাই বিধায়ক না থাকা সত্ত্বেও কোনও সমস্যা হয়নি সাধারণ মানুষের। আমার ক্ষেত্রেও হবে না।’’

উল্লেখ্য, বেহালা পূর্ব এত দিন শোভনের কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত ছিল। তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরেও একাধিক বার বেহালার সঙ্গে নিজের ‘আত্মিক সম্পর্ক’-এর কথা শোনা গিয়েছে শোভনের মুখে। তৃণমূল ওই কেন্দ্রে রত্নাকে প্রার্থী করার পরেও, গেরুয়া শিবিরের হয়ে সেখানে দাঁড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই সময় রত্নাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। সেইসময়ও রত্না জানিয়েছিলেন, শোভন আর তাঁর কেউ নন।

যদিও নীলবাড়ির লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বেহালার পূর্বের প্রার্থী হওয়া আর হয়নি শোভনের। তাঁর জায়গায় অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে সেখানে প্রার্থী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, শোভনকে বেহালা পূর্বে দাঁড় করালে রাজনীতির চেয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ‘কেচ্ছা’ নিয়েই বেশি চর্চা হত। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই বেহালা পূর্বের প্রার্থী না হতে পেরে শোভন-বৈশাখী দু’জনে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও, সে নিয়ে মাথা ঘামাননি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy