নিজস্ব চিত্র
বয়ালের বুথে দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকার পর বেরিয়ে এসে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাহিনী ও কমিশনকে এক যোগে আক্রমণ করেও মমতার দাবি, ‘‘নন্দীগ্রামে আমি জিতবই।’’
‘বুথে ছাপ্পা ভোট চলছে’, এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বয়ালের বুথে গিয়েছিলেন মমতা। বাইরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় দীর্ঘ ক্ষণ ভিতরেই বসে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে বাইরে নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ। বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে সকাল থেকেই একের পর এক অভিযোগ আসছিল। সেখানে অনেকেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা ভোট দিতে পারছেন না। বুধবার রাত থেকে এলাকায় গুন্ডামি করছেন বিজেপি প্রার্থী।’’ সেই সোম-মঙ্গলবার থেকে বিজেপি টানা অত্যাচার করছে, সেখ সুফিয়ান-সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে ৬৩টি অভিযোগ কমিশনে পাঠিয়েছি।’’
নন্দীগ্রাম সব সময়েই আলোচনার কেন্দ্রে। তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, তাঁর কেন্দ্রের ফল নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। মমতা বললেন, ‘‘আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। নন্দীগ্রামে আমি জিতবই, মা মাটি মানুষের আশীর্বাদে। সকাল থেকে অনেকেই বলেছেন, ভোট দিতে পারছেন না। তার মানে এটা প্রমাণিত হয়, যাকেই দায়িত্ব দিক না কেন, মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।’’
বয়াল কেন্দ্র নিয়ে সকাল থেকেই ক্রমাগত অভিযোগ উঠছিল। দুপুরের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমেই সেই বুথে যান মমতা। বেরিয়ে বলেন, ‘‘এখানে ভোটটা চিটিংবাজি হয়েছে। বয়ালে ওরা (বিজেপি) অত্যাচার করেছে চূড়ান্ত। আমি পুলিশকে বারবার বলেছি। পুলিশ যখন বসেছে, তখন কিছু হয়নি। যেই পুলিশ চলে গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে যে কে সেই অবস্থা।’’ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। বলেন, ‘‘বিএসএফ, সিআরপিএফের মতো বাহিনী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারা নির্দেশিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের নির্দেশ দিচ্ছেন। বিজেপি-র পক্ষে ভোট করাতে বলা হচ্ছে। বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।’’
কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন মমতা। বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নৈঃশব্দ্যের জন্য আমি ওঁদের কাছে ক্ষমা চাই। পক্ষাপতদুষ্ট কমিশন বিজেপি-কে সাহায্য করছে। আপনারা ব্যবস্থা নিন। কিন্তু আপানারা যাই করুন, বিজেপি ভোটে জিতবে না। তৃণমূল নন্দীগ্রামে ৯০ শতাংশ ভোট পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy