নন্দীগ্রামে মমতা। —নিজস্ব চিত্র।
আচমকা কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। বরং সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রামের মধ্যে থেকেই কোথাও দাঁড়াবেন বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ভোটের প্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের মাটি থেকে জমি আন্দোলনের সূত্রপাত, তাই সেখান থেকেই তিনি ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন মমতা। তা নিয়ে গেরুয়া শিবির থেকে লাগাতার কটাক্ষ উড়ে আসছে। কিন্তু মমতা জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের মানুষ চেয়েছেন বলেই সেখান থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নন্দীগ্রামের মানুষ না চাইলে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না বলেও জানান।
বুধবার হলদিয়ায় গিয়ে মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেবেন মমতা। তবে এখনই কলকাতা ফিরবেন না। ১১ মার্চ শিব চতুর্দশীর পুজো দিয়েই কলকাতা থেকে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
সরাসরি আপডেট—
• ০৪.০৬: নন্দীগ্রাম থেকে চণ্ডীপুর, খেজুরি, মনে রাখবেন, আমি একা জিততে চাই না, আমাদের সকলকে জিততে হবে। বুথে বুথে সবাই তৈরি হয়ে যান। সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ক্লাবগুলোর সমর্থন চাইছি: মমতা।
• ০৪.০৫: শহিদ বেদীতে মালা দিতে যাব। আগামী কাল আপনাদের ভালবাসা আশীর্বাদ নিয়ে মনোনয়ন দিতে যাব। তার পর আবার ফিরে আসব নন্দীগ্রামে। ১১ তারিখে শিব চতুর্দশী, পুজো দিয়ে যাব। ওই দিনই আবার ইস্তেহার প্রকাশ হবে। সারা পৃথিবীতে একটাই নাম থাকবে, নন্দীগ্রামে। মা-বোনেরা অনেক লড়াই করেছেন। ওঁরা না থাকলে আন্দোলন সাফল্যমণ্ডিত হতো না: মমতা।
• ০৪.০২: শাসানি দিচ্ছে, বলছে, এলাকা ছেড়ে চলে দিতে। আমি সকলের ভাল চাই। এমন কিছু বলবেন না, যা কটূ শোনায়। আমিও অনেক কিছু জানি, কিন্তু বলি না। সিপিএম-এর অনেককে বিজেপি নিয়ে এসেছে। হিন্দু-মুসলিম ভাই-বোনেরা জেনে রাখুন, অত্যাচারী লক্ষ্ণ শেঠের সঙ্গে যারা কাজ করেছিল, তাদের নিয়ে অত্যাচারের পরিকল্পনা করছে। মামলা নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। বলবেন, যা করার করে নাও দু’মাসে। আর ৭-১০ দিন পরে কোথায় যাবে ভেবে নাও: মমতা।
• ০৪.০০: ১ এপ্রিল ওদের এপ্রিল ফুল করে দেবেন। ভোটবাক্সে এপ্রিল ফুল করে দেবেন। ২ মে ফল বেরোলে বুঝতে পারবে। টাকা দিলে কী করতে হয় জানেন আপনারা। ১ এপ্রিল খেলা হবে: মমতা।
• ০৩: ৫৯: নানা রকম চক্রান্ত চলছে, চলবে। পা দেবেন না। দু’কামরার বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। আগামী এক বছরে ২ মাস অন্তর নন্দীগ্রাম আসব। আমি নিজে পরে একটা কুঁড়েঘর বানাব নন্দীগ্রামে। মনে রাখবেন, কথা দিলে কথা রাখি আমি। আমি ভাঁওতা দিয়ে, পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে রাজনীতি করি না: মমতা।
• ০৩.৫৮: আমার ভবানীপুর গিয়ে দেখে আসবেন। আগামী দিনে নন্দীগ্রামকে মডেল নন্দীগ্রাম করে তুলব। নন্দীগ্রামে কোনও ঘরে বেকার থাকবে না। শিক্ষায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না। শহিদদের স্মরণ করে এ বারের ইস্তেহারে বিশ্ব বিদ্যালয় রাখছি : মমতা
• ০৩. ৫৩: আমার সঙ্গে ধর্ম নিয়ে নামবেন? ধর্ম নিয়ে খেলবেন? খেলা হবে? মুখস্ত করে এসে বুলি আওড়ায়। এখানে হাসপাতাল কে গড়েছে, রাঙাহাট কে তৈরি করেছে, স্বর্ণময়ী কলেজ করেছি, শহিদ বেদী, কিসান মাণ্ডি, ৭০০ কোটি টাকার জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। তা ছাড়াও হলদিয়ার সঙ্গে নন্দীগ্রামকে ব্রিজ তৈরি করে জুড়ে দেব: মমতা
• ০৩.৫২: সংখ্যালঘুদেরও মসজিদ রয়েছে, দরগা রয়েছে, খ্রিস্টানদের গির্জা রয়েছে। আমি চণ্ডীপাঠ করে বাড়ি থেকে বেরোই। আমার সঙ্গে হিন্দুধর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে বলবেন: মমতা।
• ০৩.৫১: আমি বাইরের লোক হয়ে গেলাম! যাঁরা গুজরাত থেকে আসছেন, রাজস্থান থেকে আসছেন, তাঁরা বাংলার লোক হয়ে গেলেন? আমাকে বহিরাগত বলছেন: মমতা
•০৩.৫১: আমি বহিরাগত! তাহলে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত ছিল না আমার। যাঁরা হিন্দু-মুসলমান করছেন, আমিও হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না। হিন্দু ধর্মের আদর্শ মানুষকে ভালবাসা। বিবেকানন্দ হিন্দুধর্ম শিখিয়েছেন: মমতা
• ০৩.৫০: আজ সহকর্মীদের বলব, আপনারা দলের সম্পদ। আপনারা যদি মনে করেন, আমার দাঁড়ানো উচিত নয়, বলে দিন। কাল মনোনয়ন আছে, জমা দেব না। চলে যাব। আর যদি ঘরের মেয়ে মনে করেন, তাহলে মনোনয়ন জমা দিয়ে যাব: মমতা
• ০৩.৪৮: স্কুটারে চলে নন্দীগ্রাম চলে এসেছিলাম। তা বুঝেই উঠতে পারেনি সিপিএম। তমলুক থেকে চণ্ডীপুর চলে এসেছিলাম, যেখানে সোহম দাঁড়িয়েছে। সেখানেও গাড়ি আটকে দিল। কুমন্তব্য করা হচ্ছিল। তার পর ঠেলে ঠেলে নন্দীগ্রামে এসেছিলাম। তার পর কী ভাবে মারধর করা হয়, লাঠিচার্জ করা হয়, আপনারা দেখেছেন। সেখান থেকেই বাংলা জুড়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলন করলাম: মমতা
• ০৩.৪৬: আপনাদের মনে আছে, ১৪ মার্চ গুলি চলেছিল। অপারেশন হয়েছিল। বেরোতে বারণ করেছিলেন ডাক্তাররা। তা-ও বেরিয়ে চলে এসেছিলাম। আমার গাড়িতে সে দিন পেট্রোল বোমা মেরেছিল। সে দিন কেউ ছিল না। আমি কিন্তু রাস্তায় বসেছিলাম। নন্দীগ্রামে যাবই বলে দিয়েছিলাম। গোপাল গাঁধী ফোনে বলেছিলেন, আপনাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে: মমতা
• ০৩.৪২: আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে। গ্রামের জন্য ভালবাসা রয়েছে। শহরে বড় হয়েছি। সব দিয়েছে। কিন্তু গ্রামে ফিরে যাই কারণ হারিয়ে যাওয়া ছোট্টবেলা ফিরিয়ে দিয়েছে। সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম, যএ কোনও একটা জায়গায় দাঁড়াব ভেবে রেখেছিলাম। কারণ দু’টোই আন্দোলনের পীঠস্থান: মমতা।
• ০৩৪০: ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামই সম্প্রীতি শিখিয়েছি।
• ০৩.৩৯: নন্দীগ্রামের মানুষরাই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। নন্দীগ্রামের মানুষের কথা তুলে ধরতে দিল্লি, মুম্বই গিয়েছি। নন্দীগ্রামে কেন দাঁড়ালাম। ঘরের কেন্দ্র ছিল ভবানীপুর। কিছুই করতে হত না। মনে রাখবেন, যে দিন শেষ এসেছিলাম। তখন এখানে আসনটা খালি ছিল। পদত্যাগ চলে গিয়েছিল। তখন বলেছিলাম, নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে কেমন হবে। দেখতে চাইলাম আপনারা কী বলেন। আপনারা বললেন ভাল হবে। আপনাদের সেই ভালবাসা, উন্মাদনা দেখে বুঝেছিলাম নন্দীগ্রাম আমার দু’চোখ: মমতা।
• ০৩.৩৯: নন্দীগ্রাম ব্লক ১ এবং ব্লক ২, দু’জায়গাতেই সভা করে দেখিয়ে দেব। অনেকে বলবেন দল ভাঙানোর চেষ্টা। বলবেন ৭০-৩০। মানুষএ মানুষে ভাগাভাগি হয় না। বলে দেবেন আমরা ১০০: মমতা।
• ০৩.৩৭: এটা জনসভা নয়। ১০ হাজার বুথকর্মীকে আজ ডেকেছি তাদের সঙ্গে কথা বলব বলে: মমতা।
• ০৩.১৫: মমতার কপ্টার নামল নন্দীগ্রামে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy