কলাইকুণ্ডায় মমতা। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলায় জেতার অপেক্ষা খালি, তার পরই দিল্লিতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, কলাইকুণ্ডায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন গড়বেতা, কেশিয়াড়ি এবং কলাইকুণ্ডায় সভা করেন মমতা। শেষ সভা ছিল কলাইকুণ্ডায়। সেখান থেকেই দিল্লি নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানান তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় জিতলেই দিল্লিতে ঝাঁপাব। দিল্লিছাড়া করে ছাড়ব।’’
কলকাতার কফিহাউসে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘মান্না দে যে কফিহাউস নিয়ে গান গেয়েছেন, সেই কফিহাউসেও গুন্ডাগুলো বসে রয়েছে। কফিহাউসে যে ছেলেটির ছবি সামনে এসেছে, সে বহিরাগত গুন্ডা। কফি হাউস দখল করতে গিয়েছিল। ওরা জানে কফি হাউসে কারা যায়?’’
মমতা আরও বলেন, ‘‘চাষিদের কাছ থেকে ৩১ টাকায় চাল কিনে আগে ২ টাকায় সকলকে চাল দিতাম। এখন বিনামূল্যেই চাল-ডাল পান। তৃণমূল-কে ভোট দিলে তা আনতে রেশন দোকানেও যেতে হবে না। বাড়ি বাড়ি চাল পৌঁছে দেবে আমার সরকার।’’
মমতার বক্তব্য—
• ১৫.২৫: এই যুদ্ধে জিততে হবে, তার জন্য লড়াই করে যেতে হবে।
• ১৫.২৪: এখানে জুন মালিয়া আমাদের প্রার্থী। খুব ভাল মেয়ে। বর্ধিষ্ণু পরিবারের মেয়ে। মনে রাখবেন, যদি আসে জুন, মনে আসবে ফাগুন। সামনেই দোল যে!
• ১৫.২৩: যদি আপনারা চান আমি থাকি, তাহলে কে দাঁড়াচ্ছে সে কথা বড় কথা নয়, এঁরা জিতলেই আমি ভোটটা পাব। যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন সব পাবেন। আমাকে চাইলে ভোটটা দয়া করে তৃণমূলে দেবেন। জোড়াফুলে ভোট দিন। সকাল সকাল ভোট দিন। নিজের ভোট নিজের ভোট দিন। বিজেপি-কে বিদায় দিন। খেলা হবে, দেখা হবে, জেতাও হবে। পা ভাল হয়ে গেলে দু’পায়ে হেঁটে এসে আপনাদের প্রণাম জানিয়ে যাব।
• ১৫.২০: ভোটের দিন মেশিন খারাপ করে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিতে চাইবে। যাবেন না। মেশিন ঠিক হলেও ভাল করে দেখে ভোট দিতে হবে। গুন্ডারা যেন ভোট লুঠ করতে না পারে। ভোটের পর এক মাস মেশিন পাহারা দিতে হবে। ভোটটাকে সযত্নে নজরে রাখবেন। কিছু খাইয়ে ভোট লুঠ করতে পারে। ভোটবাক্স পাহারা দেওয়ার সময় কারও হাতে কিছু খাবেন না। বাইরের গুন্ডারা ভোট লুঠ করতে এলে হাতা-খুন্তি নিয়ে দৌড়ে যাবেন।
• ১৫.১৬: ১৮ বছর বয়স থেকে বিধবারা মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন। বিনা পয়সায় খাবার পাবেন, চিকিৎসার খরচ পাবেন।
• ১৫.১৫: পরিবর্তন তো আমার স্লোগান। সেটাও নিতে হচ্ছে। মাথায় কি কিছুই নেই?
• ১৫.১৪: মান্না দে যে কফিহাউস নিয়ে গান গেয়েছেন, সেই কফিহাউসেও গুন্ডাগুলো বসে রয়েছে। কফিহাউসে যে ছেলেটির ছবি সামনে এসেছে, সে বহিরাগত গুন্ডা। কফি হাউস দখল করতে গিয়েছিল। ওরা জানে কফি হাউসে কারা যায়?
• ১৫.১২: মেদিনীপুরের কত ছেলেমেয়ে আটকে ছিল লকডাউনে। আমি মুম্বইয়ে টাকা পাঠিয়েছি। রাজস্থানে বাস পাঠিয়েছি। সকলকে নিয়ে এসেছি। আপনারা দেখেছেন বাচ্চাকে বাক্সে শুইয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন মা। এদের কোনও মায়া-দয়া নেই। এরা স্বৈরাচারী, দুরাচারী, রাবণের দল। এরা শুধু গিলতে এসেছে। মুখে হরি হরি আর পিছনে চুরি করি, এই হল বিজেপি।
• ১৫.০৮: দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দিই। দিদি আপনাদের সব পুজো দেখে দেবে। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপি লুঠের টাকা ছড়ালে আপনারা মাথা নত করবেন না, কথা দিন। মনে রাখবেন ওই টাকা ওদের টাকা নয়। জনগণের টাকা। এটা লুঠের টাকা। এই নরেন্দ্র মোদীই ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন, দিয়েছেন?
• ১৫.০৭:মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ মেনে বিশেষ টাস্কফোর্স তৈরি করব, যাতে অনগ্রসর শ্রেণিকে ওবিসি-র আওতায় আনা যায়।
• ১৫.০৬: আমাদের সরকার এলে আগামী দিনে ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করে দেব। ৪ শতাংশ সুদে ক্রেডিট কার্ড। সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফি দেওয়া যাবে। নিজেদের পড়াশোনার খরচ নিজেরাই চালাতে পারবেন পড়ুয়ারা।
• ১৫.০৬: দিল্লি সরকারও মেনেছে বাংলায় বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমেছে, যারা কি না আমার শত্রু।
• ১৫.০৫: মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রেই হাত খরচ পান না। তাঁদের জন্য বছরে ৬ হাজার টাকার ব্যবস্থা করছি আমরা। মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন।
• ১৫.০৪: চাষিদের কাছ থেকে ৩১ টাকায় চাল কিনে মানুষকে ২ টাকায় দিতাম। এখন এক পয়সাও দিতে হয় না। খাদ্যসাথীতে এখন বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। তৃণমূলকে ভোট দিন, আগামী দিনে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব। দুয়ারে সরকার দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেবে।
• ০৩. ০১: খড়্গপুরের অনেক মানুষ রেলে কর্মরত। সেই রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টায় বিজেপি। রেলকর্মীদের অনুরোধ, বিজেপি-কে একটি ভোটও দেবেন না। ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন মানুষ। সেই ব্যাঙ্কও বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। কোথায় টাকা রাখবেন মানুষ?
• ০৩.০০: দুঃসহ গরমের চেয়েও দুঃসহ বিজেপি-র অত্যাচার। বহিরাগত গুন্ডাদের হাতে বাংলাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
• ০২.৫৮: পায়ে চোট লেগেছে। যত কষ্টই হোক না কেন বিজেপি-কে বাংলা দখল করতে দেব না।
• ০২.৫২: আমার পা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমি না বেরোলে বাংলা দখল করে নেবে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy