বলরামপুরের সভায় মমতা। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
কমিশন যাই বলুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তত্ত্বে এখনও অনড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতার উপরে নন্দীগ্রামে ‘পূর্বপরিকল্পিত হামলা’র তত্ত্ব নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দিয়েছে। কমিশনকে পাঠানো দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টে ওই তত্ত্বের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। কিন্তু সোমবার মমতা ফের ‘হামলা’র তত্ত্ব ফিরিয়ে এনেছেন। পুরুলিয়ায় তিনি অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রামে তাঁর গাড়ির দরজা চেপে দেওয়া হয়। তাতেই আঘাত পান।
সোমবার পুরুলিয়ার বলরামপুরে নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা। সেখানে তিনি হুইল চেয়ারে বসেই ভাষণ দেন। নন্দীগ্রামের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘দরজা চেপে দেওয়া হয়’ বলে মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, ‘‘ক’দিন আগে আমি যখন প্রচার করছিলাম, গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে মানুষকে নমস্কার করছিলাম, তখন আমার গাড়ির দরজাটা এমন ভাবে চেপে দেওয়া হয় যে আমার পায়ের গোড়ালি পুরো ঘষে যায় এবং চিড়ও লাগে এবং অনেকটা হেমাটোমাও আছে। তাই পায়ে প্লাস্টার আছে। তাই দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতে পারছি না বলে ক্ষমা চাইছি।’’
গত ১০ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারের কাছে শরীরে আঘাত পান মমতা। সেই সময় গোটা ঘটনায় ‘চক্রান্ত’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আহত অবস্থায় ফোলা পা দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল।’’ পড়ে গিয়ে পা ফুলে গিয়েছে বলেও জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দেখো কিতনা ফুল গয়া।’’
নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ভর্তি থাকার সময় মমতার একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ্যে আসে। সেখানে যদিও তিনি এই প্রসঙ্গের কোনও উল্লেখ করেননি। ফলে কেউ কেউ মনে করছিলেন মমতা হামলার তত্ত্ব থেকে সরে গিয়েছেন। কিন্তু পুরুলিয়ার সভায় ফের নিজের তত্ত্বে অনড় থাকতে দেখা গেল মমতাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy