মার বিজেপি কর্মীকে, অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর দিকে
বিজেপির পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে গুরুতর জখম হলেন এক প্রৌঢ়। তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণগঞ্জের খালবোয়ালিয়া এলাকায়।
আহত প্রৌঢ়ের নাম গণেশ দাস। তিনি এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মারের পাশাপাশি লোহার রড দিয়েও আঘাত করেছে। এই ঘটনায় কৃষ্ণগঞ্জ থানায় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বিজেপি সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে খালবোয়ালিয়া বাজার এলাকায় দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন গণেশবাবু। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী এসে তাঁকে বিজেপির পাতাকা টাঙাতে নিষেধ করে। শুরু হয়ে যায় কথা কাটাকাটি। এর পরেই গণেশবাবুর উপরে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। রবিরার রাতেই গণেশবাবুর ছেলে দেবাশিস পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, “বাবা বিজেপির সক্রিয় কর্মী। মহাদেব দাস ও ভীম দাস নামে দুই তৃণমূলের লোক এসে আমার বাবাকে বিজেপির পতাকা টাঙাতে বারণ করে। বাবা প্রতিবাদ করায় তারা বাবাকে লোহার রড দিয়ে মারে।”
গণেশবাবুকে প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সোমবার সকালে অবশ্য তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লক্ষণ ঘোষ চৌধুরী। তিনি বলেন, “বিজেপির লোকজন আমাদের দলের কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ওদের দলের পতাকা টাঙাচ্ছিল। তাতে অপত্তি করায় ওরাই লোকজন নিয়ে এসে আমাদের কর্মীদের উপরে চড়াও হয়। অন্ধকারে দুই পক্ষের গোলমালে কে কাকে মেরেছে তা স্পষ্ট নয়।”
একই অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগর শহরেও। অভিযোগ, রবিবার দুপুরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাগানপাড়া এলাকায় কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থককে মারধর করেছে তৃণমূলের লোকজন। নয় জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে কৃষ্ণনগর শহরের বউবাজার এলাকায় স্টেশনে যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দোলের দিনে মদ খাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy