রঘুনাথপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে আইসি।
দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে প্রচারে এসেছিলেন বিজেপির দুই চলচ্চিত্র তারকা মনোজ তিওয়ারি ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। রোড-শোয়ের অনুমতি না থাকা নিয়ে গোলমাল বাধল পুলিশের সঙ্গে। অভিযোগ উঠল পুলিশকে নিগ্রহের। ঘটনার পরে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে রঘুনাথপুরের আইসি
সঞ্জয় চক্রবর্তীকে।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘রঘুনাথপুর শহরে এ দিন রোড-শো করার জন্য বিজেপি কোনও অনুমতি নেয়নি। তাই কর্মসূচি আটকানো হয়েছিল। সেই সময়েই ওই দলের কিছু কর্মী-সমর্থকের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন থানার আইসি। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
বৃহস্পতিবার দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ রঘুনাথপুর শহরের মুনসেফডাঙা থেকে শুরু হয়েছিল রোড-শো। রঘুনাথপুরের বিজেপি প্রার্থী বিবেকানন্দ বাউড়ির সঙ্গে হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন দলের উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাংসদ তথা ভোজপুরি সিনেমার অভিনেতা মনোজ তিওয়াড়ি এবং বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে এ বারের বিজেপি প্রার্থী, অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। পুলিশের দাবি, হাজার দেড়েক লোক ছিল পথে।
পুলিশের দাবি, রোড-শো শুরুর সময়েই অনুমতি না থাকার বিষয়টি বিজেপি নেতাদের জানান এসডিপিও (রঘুনাথপুর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজ না হওয়ায় ব্লক অফিসের কাছে রোড-শো থামাতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়। দেহরক্ষীরা এসডিপিও-কে বার করে নিয়ে আসেন। সেই সময়ে এক দেহরক্ষীর উর্দি ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
পরে রঘুনাথপুর থানার অদূরে প্রচার আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তী রোড-শো আটকাতে গেলে ধুন্ধুমার বেধে যায়। ভিড়ের মধ্যে আইসিকে নিগ্রহ করে উর্দি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। থানা থেকে পুলিশ বাহিনী লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইসিকে ভর্তি করানো হয় রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে এইচডিইউ-তে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন জেলার পুলিশ সুপার।
তৃণমূলের রঘুনাথপুরের প্রার্থী হাজারি বাউড়ি এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপি কোনও নিয়মনীতি মানে না। নির্বাচনী প্রচার করে যে প্রশাসনের অনুমতি লাগে, সেই বোধটাও ওদের নেই।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী অবশ্য পুলিশের দিকে পাল্টা আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘রঘুনাথপুরে রোড-শো করা হয়নি। দুই তারকাকে দেখতে মানুষের ঢল নেমেছিল। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করে জোরজবরদস্তি করে নিজেরাই সমস্যা তৈরি করেছে।’’
রঘুনাথপুর থেকে গাড়িতে কাশীপুরে যান মনোজ ও শ্রাবন্তী। সেখানে রোড-শোয়ের জন্য অনুমতি ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে দুপুর ১২টা নাগাদ কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও প্রায় দু’ঘণ্টা পরে গাড়িতে এসে পৌঁছন তাঁরা। ফলে, পুরো রোড-শো হয়নি। ন’পাড়া পেট্রল পাম্প থেকে রাজবাড়ি মোড় পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে কপ্টারে চেপে ফিরে যান মনোজ ও শ্রাবন্তী। তখনও রাজবাড়ি মোড়, পোদ্দারপাড়া হয়ে হাটতলা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে প্রচুর মানুষ অপেক্ষা করেছিলেন। সেখানে কাশীপুরের প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা একাই প্রচার সারেন। তিনি বলেন, ‘‘রঘুনাথপুর থেকে কাশীপুরে পৌঁছতে আমাদের দুই তারকা প্রচারকের অনেকটাই দেরি হয়েছিল। তাঁদের ফিরে যাওয়ার তাড়া ছিল বলেই রোড-শোয়ের পুরোটা থাকতে পারেননি।’’
রঘুনাথপুর থেকে গাড়িতে কাশীপুরে যান মনোজ ও শ্রাবন্তী। সেখানে রোড-শোয়ের জন্য অনুমতি ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে দুপুর ১২টা নাগাদ কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও প্রায় দু’ঘণ্টা পরে গাড়িতে এসে পৌঁছন তাঁরা। ফলে, পুরো রোড-শো হয়নি। ন’পাড়া পেট্রল পাম্প থেকে রাজবাড়ি মোড় পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে কপ্টারে চেপে ফিরে যান মনোজ ও শ্রাবন্তী। তখনও রাজবাড়ি মোড়, পোদ্দারপাড়া হয়ে হাটতলা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে প্রচুর মানুষ অপেক্ষা করেছিলেন। সেখানে কাশীপুরের প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা একাই প্রচার সারেন। তিনি বলেন, ‘‘রঘুনাথপুর থেকে কাশীপুরে পৌঁছতে আমাদের দুই তারকা প্রচারকের অনেকটাই দেরি হয়েছিল। তাঁদের ফিরে যাওয়ার তাড়া ছিল বলেই রোড-শোয়ের পুরোটা থাকতে পারেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy