বাংলায় ৫ দফার ভোটগ্রহণ শেষ। ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের চার জেলার ৪৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ২২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। তার মধ্যে রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ৯, নদিয়ার ৯, পূর্ব বর্ধমানের ৮ এবং উত্তর ২৪ পরগনার ১৭টি আসন। ষষ্ঠ দফায় কিন্তু রুপোলি পর্দার তারকাদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন রাজনীতির তারকারা। এই দফায় ভাগ্য নির্ধারিত হবে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীরও।
দেখে নেওয়া যাক ষষ্ঠ দফায় কাদের উপরে থাকছে নজর।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ বিজেপি-র মুকুল রায়। নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়ে টিকিট পেয়েছেন কৌশানী। একদা তৃণমূলের দুঁদে সংগঠক, বর্তমানে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে লড়াই তাঁর। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হলেও ভোটের ময়দানে বিশেষ ‘পরীক্ষিত’ নন মুকুল। ২০০১ সালে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়িয়ে হারতে হয়েছিল তাঁকে। দীর্ঘ ২০ বছর পরে ফের ভোটে লড়ছেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ৪ বারের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দু’দফায় গাইঘাটা ও দু’দফায় হাবরা থেকে জিতেছেন তিনি। এ বার পঞ্চম বার বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি-র রাহুল সিংহ। রাজনীতির ময়দানে বহু দিন ধরে গেরুয়া পতাকা ধরে থাকলেও রাহুলের ভোট-ভাগ্য কখনও প্রসন্ন হয়নি। এ বার তাঁকে হাবরায় টিকিট দিয়েছে দল। বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে থাকা রাহুলের সামনে কঠিন লড়াই।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে এ বার তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। হালিশহরের ছেলে রাজের প্রতিপক্ষ তৃণমূলের চন্দ্রমণি শুক্লা।
উত্তর ২৪ পরগনারই দমদম উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূল ফের প্রার্থী করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। ২০১১ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হলেও ২০১৬-র বিধানসভায় হেরে যান চন্দ্রিমা। পরে দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হন তিনি। এ বার চন্দ্রিমার লড়াই বিজেপি-র অর্চনা মজুমদারের বিরুদ্ধে।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের দু’বারের বিধায়ক স্বপন দেবনাথকেই ফের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ২০০১ সালে অধুনাবিলুপ্ত বর্ধমানের নাদনঘাট কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হওয়া স্বপন এ বার পঞ্চম বারের জন্য বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি-র রাজীবকুমার ভৌমিক।
২০১৫ সালে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৬-য় বর্ধমানের কাটোয়া থেকে বিধায়ক হন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এ বারও সেখানেই প্রার্থী তিনি। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি-র শ্যামা মজুমদার।
মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় ২০১১ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের বিধায়ক। বাবার পরে তিনিও গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এ বার বীজপুর থেকেই বিজেপি-র টিকিটে লড়ছেন তিনি। প্রতিপক্ষ তৃণমূলের সুবোধ অধিকারী।
তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে টিকিট পাওয়া বিধায়কদের তালিকায় আরও এক নাম শীলভদ্র দত্ত। ২০১১ সালে ব্যারাকপুর থেকে জিতেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহতে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। সেই কেন্দ্রেই এ বার বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্রের প্রতিপক্ষ তৃণমূলের কাজল সিংহ।
২০০৭ সালে রিজওয়ানুর রহমানের রহস্যমৃত্যুর পরে ২০১১ সালে তাঁর দাদা রুকবানুর রহমানকে নদিয়ার চাপড়া থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। দু’বারের বিধায়ক তিনি। এ বারও তাঁকে টিকিট দিয়েছে শাসকদল। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি-র কল্যাণকুমার নন্দী।
নজর থাকবে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী আলি ইমরান রামিজের উপরেও। রাজনৈতিক মহলে ‘ভিক্টর’ নামে পরিচিত ইমরান ২০০৯ সালে কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সির ছেড়ে যাওয়া আসন গোয়ালপোখর থেকে উপনির্বাচনে জেতেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি চাকুলিয়ার বিধায়ক। এ বারও সেখানে তাঁকে টিকিট দিয়েছে বামফ্রন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy