Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Assembly Election 2021

Bengal polls 2021: সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই বিজেপি-তে, সঙ্গে আরও ৪ বিধায়ক, তালিকায় সোনালি, দীপেন্দু, জটু, শীতল

মোট ৫ তৃণমূল বিধায়ক এলেন বিজেপিতে। এছাড়াও মালদহ জেলা পরিষদ, তৃণমূলের থেকে বিজেপির দখলে আসার পরিস্থিতি তৈরি হল।

বিজেপিতে যোগ রবীন্দ্রনাথ, সোনালীর ।

বিজেপিতে যোগ রবীন্দ্রনাথ, সোনালীর ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২১ ১৬:৪১
Share: Save:

দলবদলে সামিল হলেন ৯০ বছরের মাস্টারমশাইও। সিঙ্গুরের ৪ বারের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মাস্টারমশাই নামেই পরিচিত। ২০০১, ২০০৬, ২০১১ এবং ২০১৬ - পরপর ৪ বার তৃণমূলের টিকিটে সিঙ্গুর থেকে জয়ী হন তিনি। কিন্তু এ বার প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান বয়সের কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সেই ক্ষোভ দলবদলে পরিণত হল।

সোমবার কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ-সহ মোট ৪ জন তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে যোগ দেন। সেই তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, হাওড়ার সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার এবং হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি। সেই সঙ্গে সোমবার বিজেপি-তে যোগ দেন মালদহের সরলা মুর্মু। প্রসঙ্গত তৃণমূল সরলাকে মালদহের হবিবপুরে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু তারপরেই আসন পছন্দ না হওয়ায় তিনি বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। সেটা জেনেই সোমবার তাঁকে সরিয়ে হবিবপুরে প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সরলাকে সরানোর কারণ হিসাবে তাঁর ‘শারীরিক অসুস্থতা’র কারণ দেখানো হয়েছে।

সরলা মালদহ জেলা পরিষদেরও সদস্য। সোমবার সরলা ছাড়াও আরও ১৪ জন মালদহ জেলাপরিষদ তৃণমূলের সদস্য বিজেপি-তে এলেন। তার মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল। এর ফলে সংখ্যার হিসেবে মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সোমবার সকলের হাতে বিজেপি-র পতাকা তুলে দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যোগদান পর্বের পরে দিলীপ বলেন, ‘‘এঁর সকলেই রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’’ যোগদান পর্বে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব।

২০০১ সাল থেকে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ। সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখও ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মন্ত্রীও করা হয় তাঁকে। তবে ইদানীং দলের সঙ্গে অনেকটাই ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছে তাঁর। দ্বিতীয় দফার তৃণমূল সরকারে তিনি আর মন্ত্রিত্ব পাননি। সম্প্রতি হুগলি জেলায় তৃণমূলের নেতা তথা হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসে। দ্বন্দ্ব মেটাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ মমতাকে। তার পর থেকেই রবীন্দ্রনাথ বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু সেই জল্পনা স্পষ্ট ভাবেই নাকচ করে দিয়েছিলেন মাস্টারমশাই। তবে সোমবার তা সত্যি হয়ে গেল। আর সেটা হল তাঁর বরাবরের কেন্দ্র সিঙ্গুরে তাঁরই বিরোধী হিসেবে পরিচিত বেচারামকে প্রার্থী করার পর। বেচারামের আগের কেন্দ্র হরিপালে তাঁরই স্ত্রী করবী মান্নাকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy