মোদীর উপস্থিতিতে বাংলার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির বৈঠক
শুক্রবারই তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, এমন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দল না করলেও তেমনই জল্পনা ছিল। সেই জল্পনাকে সত্যি করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সব আসনের প্রার্থীর নামই ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি-র ক্ষেত্রে জল্পনা মিলল না। এটা ঠিক যে, গেরুয়া শিবির কবে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করবে, সে ঘোষণা এখনও হয়নি। তবু বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটির অনুমোদন মিলে গেলে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম দু’দফায় যে ৬০ আসনে ভোটগ্রহণ, সেগুলির প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু দিনের শেষে সেই তালিকা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেল। এখনও জানা যাচ্ছে না কবে তালিকা প্রকাশ্যে আসবে।
সোম-মঙ্গল-বুধ— তিন দিন বিজেপি-র রাজ্য নেতারা দফায় দফায় ৬০ আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে বৈঠক করেন। এর পরে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে চলে ম্যারাথন বৈঠক। প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের বাড়িতে ও পরে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বাড়িতে। সেখানে হাজির হন অমিত শাহ। তাঁর উপস্থিতিতে তালিকা চূড়ান্তও হয় বলে জানা যায়। এর পর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয় দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপি-র সদর দফতরে। সেখানে নির্বাচনী কমিটিরও বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা যায়, সেই বৈঠকে চূড়ান্ত প্রার্থিতালিকায় সিলমোহরও পড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু এত কিছুর পরেও তালিকা প্রকাশ করা হল না কেন? তা নিয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। অনেকেই মনে করছেন, রবিবার ব্রিগেডে মোদীর সমাবেশ রয়েছে। তার পরেই ঘোষণা করা হতে পারে তালিকা। সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য। কবে জানা যাবে প্রার্থিতালিকা? এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর ছোট্ট মন্তব্য, ‘‘৯ তারিখের আগেই।’’ প্রসঙ্গত, ৯ মার্চই প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দিলীপের এই মন্তব্যের পর থেকেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, রবিবারের আগে প্রকাশ হবে না পদ্মের তালিকা। কিন্তু মোদীর সমাবেশ পর্যন্ত অপেক্ষা কেন? বিজেপি-র অন্দরে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। তার থেকে এই ‘গোপনীয়তা’র পিছনে তিনটি সম্ভাব্য কারণ শোনা যাচ্ছে।
প্রথমত, ৬০ আসনের তালিকা চূড়ান্ত বলা হলেও কয়েকটি আসন নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। দুই, তৃণমূলের প্রার্থী দেখার পর প্রয়োজনে বদল হতে পারে তালিকায়। তিন, তৃণমূলের তালিকায় জায়গা না পাওয়া কেউ কেউ বিজেপি-তে যোগ দেন কিনা তার জন্য অপেক্ষা। চার, মোদীর ব্রিগেডের আগে প্রার্থিতালিকা নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি হলে তা সমাবেশে প্রভাব ফেলতে পারে এবং পাঁচ, এখনই প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে দিলে নেতারা নিজেদের আসনে চলে যাবেন। তাতে ব্রিগেড সমাবেশের আয়োজন ধাক্কা খাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy