কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানাল তৃণমূল।
কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানাল তৃণমূল। এর আগেও অবশিষ্ট দফাগুলির নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছিল তারা। মঙ্গলবার ফের সেই একই দাবিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, প্রতিমা মণ্ডল, দোলা সেন এবং পূর্ণেন্দু বসু।
নীল বাড়ির লড়াইয়ে আর তিন দফার ভোট গ্রহণ বাকি। ষষ্ঠ দফার ভোট হবে আগামী বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল। তার পর ২৬ ও ২৯ এপ্রিল হবে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট। কিন্তু বর্তমানে গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে তাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার বিপক্ষে তৃণমূল। সে জন্যই শেষ দু’দফার ভোট একসঙ্গে করার পক্ষে ঘাসফুল শিবির। সাংসদ প্রতিমা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কমিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূলের সভার সংখ্যাও কমানো হয়েছে। আমরা এই মহামারির সময় বাকি দফাগুলির ভোট একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছি কমিশনের কাছে। কমিশন এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।’’
করোনা পরিস্থিতিতে সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট এক দিনে করার সপক্ষে কমিশনের কাছে বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়েছে তৃণমূল।
এক, এই পরিস্থিতিতে ভোট দু’দফায় হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা, মিছিলের সংখ্যা বাড়বে। ফলে সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দুই, ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও সংক্রমিত হতে পারেন।
তিন, কলকাতা হাইকোর্টও কোভিড নিয়ে কমিশনকে সতর্ক করেছিল। কোর্টের পর্যবেক্ষণ মেনে চলার জন্য শেষ দু’দফার ভোট এক দিনে করা হোক।
তবে তৃণমূলের তরফ থেকে এই সব দাবি উঠলেও বিজেপি আগে থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা চাইছে, কমিশনের সূচি মতোই নির্বাচন হোক।
অন্য দিকে, রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, তৃণমূল আবেদন করলেও এখনই তা হয়তো সম্ভব নয়। কারণ বাকি দু’দফায় সুষ্ঠু ভোটের জন্য ফের আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে কমিশনকে। অল্প সময়ের মধ্যে তা কার্যকর করা সম্ভব নয় বলেই জানা গিয়েছে। আবার বিজেপি-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তাতে সায় নেই। ফলে বাকি দু’দফার ভোট এক দিনে হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলা যায়।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কলকাতায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক। সেখানেও তৃণমূলের তরফে একই দাবি করা হয়েছিল। তা খারিজ করে দেয় কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy