ময়ূরেশ্বরে স্মৃতি ইরানির সভায় ভিড়। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নেওয়ায় জনসভা ও প্রচারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। ৫০০ জনের বেশি লোক নিয়ে সভা করা যাবে না এবং যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে সভা করার নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় শনিবার ময়ূরেশ্বরে বিজেপি নেত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সভায় দূরত্ব-বিধি শিকেয় ওঠার অভিযোগ উঠল।
এ দিন ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া হাইস্কুল মাঠে দলীয় প্রার্থী শ্যামাপদ মণ্ডলের সমর্থনে সভা ছিল বিজেপির। সভায় স্মৃতি ইরানির পাশাপাশি হাজির ছিলেন দলের সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা প্রমুখ। ওই সভায় বারবার করোনা সম্পর্কিত দূরত্ববিধি রক্ষা করার পাশাপাশি মাস্ক পরার কথা ঘোষণা করা হচ্ছিল। কিন্তু, অভিযোগ, পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মানা দূরের কথা, অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি। অবস্থা আরও খারাপ হয় স্মৃতির হেলিকপ্টার নামা সময়।
এ দিন ১২টা ১৭ মিনিট নাগাদ হেলিকপ্টারে নামেন স্মৃতি। হেলিকপ্টার মাটি ছুঁতেই দেখতে বহু মানুষ এক সঙ্গে হামলে পড়েন। দূরত্ববিধির সেখানেই দফারফা হয়ে যায়। তার আগে হেলিপ্যাডের ধারে গায়ে গা লাগিয়ে মাস্ক ছাড়াই অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যায়। কেন এমন হল, সে প্রশ্নের জবাবে শ্যামাপদবাবু বলেন, ‘‘অধিকাংশই আচরণবিধি মান্য করেছেন। মঞ্চ থেকেও বারবার সজাগ করা হয়েছে। ৫০০টি চেয়ারই সভা সীমাবদ্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও অত্যুৎসাহী হয়ে কেউ কেউ হাজির হয়েছিলেন। সাধারণ দর্শকদের মধ্যে কেউ কেউ অমান্য করলেও করতে পারেন।’’
বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্মৃতি বলেন, ‘‘যারা রক্ত নিয়ে খেলা হবে বলছে, ২ মে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে তাদের জেলে পাঠানো হবে।’’ তাঁর ভাষণ চলাকালীন দু’বার লোডশেডিং হয়ে যায়। তার দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘‘এই হল তৃণমূলের সরকার। বিদ্যুৎও দিতে পারে না। আমরা ক্ষমতায় এসে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেব।’’ তাঁর আরও দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার রাস্তার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে। অথচ গ্রাম বাংলার রাস্তার হাল চরম খারাপ বলে তাঁদের হেলিকপ্টারে আসতে হয়েছে।
যা জেনে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্র বলেন, ‘‘উনি উড়ে এসেছেন। মাটির খবর জানেন না বলেই ওই কথা বলেছেন। সভাস্থলের সামনে দিয়েই ষাটপলশা-শিবগ্রাম এবং অদূরে বেলিয়া-বহড়া রাজ্য সড়ক রয়েছে। তাঁর সভায় পুলিশ-প্রশাসন এবং নেতাদের গাড়ি ওই সড়ক দিয়েই যাওয়া আসা করেছে।’’
ময়ূরেশ্বরের পরে এ দিন দুপুরে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে বোলপুরে নির্বাচনী প্রচারে আসেন স্মৃতি ইরানি। সেখানে তিনি নাম না করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করেন। বোলপুরের একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনের ভার্চুয়াল সভায় তিনি বলেন, ‘‘এখানে তৃণমূলের একজন আছেন, যাকে নেতা না বলে গুন্ডা বলাই উচিত। তুমি দিকে দিকে হিংসা ছড়াচ্ছো। আমরা তবুও খেটে যাচ্ছি। তুমি চারদিকে বিজেপি কর্মীদের মারধর করছো। তা-ও আমরা এখনও এখানে দাঁড়িয়ে আছি।’’ এর পরেই স্মৃতির হুঁশিয়ারি, ‘‘কান খুলে তৃণমূলের গুন্ডারা শুনে রাখুন, ২ তারিখ ফল ঘোষণার পের এক একটি তৃণমূলের গুন্ডাকে জেলে ঢোকাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy