—ফাইল চিত্র
এক-একটি আসনের জন্য আবেদন বহু। আসানসোলের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়ে এমনই আর্জি জমা পড়ছে বলে দাবি বিজেপির। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কায় ভুগছেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। তবে এর মধ্যে সমস্যার কিছু দেখছেন না বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, দলে গণতন্ত্র আছে, তাই সকলের মতামতের দাম রয়েছে।
প্রার্থী তালিকা কবে প্রকাশ হবে, নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেননি জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তাঁরা। জেলা নেতৃত্ব সূত্রের দাবি, ভোটে দাঁড়াতে চেয়ে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দলের সদস্য-সমর্থকেরা আবেদনপত্র পাঠাতে শুরু করেছেন। কেউ-কেউ আবার দলের রাজ্য কার্যালয়, এমনকি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়েও আর্জি জানিয়েছেন বলে দাবি জেলা নেতাদের একাংশের।
জেলা বিজেপি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত কুলটির জন্য ৫৮, বারাবনির জন্য ৬৪, রানিগঞ্জের জন্য ২৭, জামুড়িয়ার জন্য ১৩, আসানসোল দক্ষিণের জন্য ৩৮, আসানসোল উত্তরের জন্য ৭২ ও পাণ্ডবেশ্বরের প্রার্থী হতে চেয়ে ১৯টি আবেদন জমা পড়েছে। কেউ-কেউ জেলা সভাপতি, আবার কেউ সরাসরি রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও আবেদন জমা দিয়েছেন। বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘এক-একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চেয়ে ৩০-৩৫ জনের মতো আবেদন করেছেন। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই দলের উচ্চ নেতৃত্ব প্রার্থী বাছাই করবেন। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।’’
জেলা বিজেপি সূত্রের দাবি, আবেদনকারীদের অনেকেই ভোটের টিকিট পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তাঁদের কেউ-কেউ। এর জেরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে দলের একাংশের আশঙ্কা। বিজেপি সূত্রের দাবি, দলের অন্দরে ‘অশান্তি’ রুখতে জেলা ও ব্লক কার্যালয়গুলিতে প্রায়ই বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠছে যে তা সামাল দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে বলে নেতাদের একাংশের দাবি।
কুলটি কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়ে তিনি আবেদন করেছেন জানিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা পুরুলিয়া জেলার পর্যবেক্ষক বিবেকানন্দ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘বহু বছর দল করছি। প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করতেই পারি। রাজ্যে এ বার আমাদের সরকার গড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের মতো প্রবীণদের সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’’ বারাবনি কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন বলে জানান প্রবীণ নেতা স্বপন রায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা এখানে মাত্র কয়েকজন মিলে দল শুরু করেছিলাম। এখন সুদিনে অনেকেই এসেছেন। আশা করি, দল আমাকে স্বীকৃতি দেবে।’’
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক ভি শিবদাসনের দাবি, ‘‘ওদের দলে (বিজেপি) কোনও শৃঙ্খলা নেই। বারবার তার প্রমাণ মিলছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেও মারামারি করছে। এ সব দেখেশুনে মানুষ ওদের গ্রহণ করবেন না।’’ সিপিএম নেতা বংশগেপাল চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিধায়ক হতে চেয়েই মারামারি! বিধায়ক হলে কী হবে, তা নিশ্চয় সাধারন মানুষ বুঝতে পারছেন।’’ তবে এর মধ্যে সমস্যার কিছু নেই দাবি করে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণবাবুর বক্তব্য, ‘‘কর্মীদের মধ্যে এই উৎসাহই বুঝিয়ে দিচ্ছে, সরকার গড়বে বিজেপি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy