বর্ধমান সার্কিট হাউসের বৈঠকে অনিল শর্মা। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের সময় অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন? শুক্রবার তার বিশদ খবর নিলেন বিধানসভা ভোটের বাংলার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিলকুমার শর্মা। জানালেন, বাংলার ভোটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে। বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে সন্দেহভাজন ও সমাজবিরোধীদের গতিবিধির উপর।
বর্ধমান সার্কিট হাউসে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অনিল। বৈঠকের শেষে জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বিভিন্ন জেলার অফিসারদের সাথে কথা হয়েছে তাঁর। জেলা প্রশাসনের তরফে যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট। তিনি জানান, ভোটারদের মনে যাতে কোনওরকম আশঙ্কা না জাগে, সে জন্য কেন্দ্রীয়বাহিনী ও পুলিশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ ব্যাপারে সমাজবিরোধীদের থেকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন অনিল। তিনি বলেন, ‘‘লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র যাদের আছে আইন মোতাবেক অনেকেই তা জমা দিয়েছেন। তবে যাঁদের অনুমোদন নেই, তাদেরও জমা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এলাকার চিহ্নিত সমাজবিরোধী গতিবিধির উপর নজর রাখতে হবে। নজর রাখতে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের চলাফেরার উপরেও।
জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি প্রসঙ্গেও কথা হয় বৈঠকে। বাহিনীর সঙ্গে পুলিশকে যৌথ ভাবে কাজ করার অনুরোধ করেন অনিল। বলেন ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভোটারদের যাতায়াত থেকে থাকার ব্যবস্থা নিয়েও উদ্যোগী হওয়ার কথাও বলেন। বৈঠকে অবশ্য এ দিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়নি। তবে জেলাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কতটা প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা তা জানিয়েছেন। বৈঠকে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ও বীরভূমের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার,পুলিশ কমিশনার, আবগারি ও সুরক্ষা বলের আধিকারিকরা সকলেই উপস্থিত ছিলেন। অনিল সাফ জানান আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কোন ভাবেই কোথায় খামতি রাখা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy