ফাইল চিত্র।
দিলীপ ঘোষের ‘গড়’ পুনরুদ্ধার করলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। উল্টো হাওয়ার মধ্যেও যা কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
গত লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্রের মধ্যে এই রেলশহরেই ৪৫ হাজার ভোটের ‘লিড’ পেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে শেষ বিধানসভা উপ-নির্বাচনে এই শহরেই প্রায় ২১ হাজার ভোটে জিতে বিধায়ক হন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার। এ বার সেই প্রদীপকেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। এ বার খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁকে। দলের রাজ্য সভাপতির খাসতালুকে পুনরুদ্ধারই ছিল বিজেপির ‘পাখির চোখ’। সেই লক্ষ্যেই এই শহরে প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শেষবেলার প্রচারে আসেন মিঠুন চক্রবর্তীও। সারা শহর চষে প্রচার চালান হিরণ। তার সুফলই তিনি পেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ৩৭৭১ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘মানুষ চেয়েছেন বলেই জিতেছি। মানুষকে আমি রাজনৈতিকভাবে সচেতন করতে পেরেছি বলে মনে করছি। তবে আমি কোনও দোষারোপের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’’
শুধু খড়্গপুর সদর নয়, ঘাটালেও জিতেছে বিজেপি। সেখানে বিজেপি প্রার্থী শীতল কপাট জিতেছেন। হেরেছেন বিদায়ী বিধায়ক শঙ্কর দোলুই। আবার প্রত্যাশা জাগিয়েও গড়বেতায় লোকসভার ‘মার্জিন’ ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে গড়বেতা কেন্দ্রে প্রায় ৮ হাজার ভোটে ‘লিড’ পেয়েছিল বিজেপি। এ বার অবশ্য সেখানে উড়ল সবুজ আবির। শালবনি কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজীব কুণ্ডু। বড় ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হারলেন তিনিও।
মেদিনীপুরে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বিজেপি। সেখানেও ২৩ হাজার ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। কেশপুরে আবার তৃণমূল জিতলেও ফল প্রত্যাশিত হয়নি। বিজেপির হার হয়েছে ডেবরা, কেশিয়াড়ি, খড়্গপুর গ্রামীণেও। ঝাড়গ্রামেও গত লোকসভার থেকে বেশ খারাপ ফল করেছে বিজেপি। সেখানে চারটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy