গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা নিয়ে তেমন ক্ষোভ না প্রকাশ্যে এলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরেই তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল গেরুয়া শিবিরে। তৃতীয় দফার চারটি আসনের প্রার্থীদের নাম প্রকাশ হলেও এখনও বাকি চতুর্থ দফার আটটি আসনের ঘোষণা। বাকি তালিকা ঘোষণা হলে আবার ক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা প্রার্থী হতে পারছেন না, তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনে বার্তা দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘‘যাঁরা প্রার্থী হতে পারছেন না, তাঁদের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’ তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষোভ সামাল দিতে কোথাও কোথাও প্রার্থী বদলের সম্ভাবনাও রয়েছে।
চুঁচুড়া কেন্দ্রে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করায় জেলার নেতা সুবীর নাগ ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’ ঘোষণা করেন। হুগলিরই উত্তরপাড়া ও সিঙ্গুরে তৃণমূল-ত্যাগী দুই বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল ও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় কর্মীদের মধ্যে। তা প্রকাশ্যে এসে গেলেও খুব একটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি দলকে। বেহালা পূর্বে প্রার্থী হতে না পারা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে দেওয়াতেও দলকে অতটা অস্বস্তি পড়তে হয়নি, যেটা হয়েছে গত সোমবার। কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে কর্মী বিক্ষোভ বড় আকার নেয়। যা সামাল দিতে শেষে রাজ্য নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
বৃহস্পতিবার যেন সেই চেষ্টাই নতুন করে চালালেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘দল বড় হয়েছে। আগে ২৯৪টা আসনের জন্য ২৯৪ জন প্রার্থী পাওয়া যেত না। এখন যাঁরা প্রার্থী হতে পারছেন না, দল ক্ষমতায় এলে তাঁদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’ এই প্রসঙ্গে দিলীপ টেনে আনেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথাও। তিনি বলেন, ‘‘প্রণববাবু অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু লাগাতার কখনও নির্বাচনে প্রার্থী হননি। শেষ দিকে দু’বার লোকসভায় জিতেছিলেন। তাঁকে জিততে সাহায্য করেছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy