Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Election Commission of India

Bengal Polls: গণনার আগেই পরীক্ষা বাছাই কিছু ভোটযন্ত্রের

সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, ভোট গ্রহণের পর থেকে গণনা প্রক্রিয়া শুরুর আগে আচমকাই ভোটযন্ত্রের বিশেষ পরীক্ষা করবেন পর্যবেক্ষকেরা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২১ ০৫:৫০
Share: Save:

কোনও বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের কোথাও ত্রুটি আছে কি না, নির্বাচন পর্বে নানা ভাবে তার পরীক্ষা তো হয়েই থাকে। এ বার ভিভিপ্যাট বা ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রায়াল যন্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণে ‘অডিট-ট্রেল’ বা বিশেষ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসারদের জানানো হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।

সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, ভোট গ্রহণের পর থেকে গণনা প্রক্রিয়া শুরুর আগে আচমকাই ভোটযন্ত্রের বিশেষ পরীক্ষা করবেন পর্যবেক্ষকেরা। ভোটগণনার ফলাফল নিয়ে যাতে কারও মনে কোনও সন্দেহ না-থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা বলে জানান কমিশন-কর্তারা।

কী ভাবে হবে এই পরীক্ষা? কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, ভোট শেষ হলে ভোটযন্ত্র ও ভিভিপ্যাটগুলি স্ট্রংরুমে পাঠানো হবে। স্ট্রংরুমে পৌঁছে যাওয়ার পরে এবং ভোটগণনার আগে যে-কোনও সময় কিছু ভোটযন্ত্র বা ভিভিপ্যাট বেছে নেবেন রাজ্যের ভোট পর্যবেক্ষকেরা। বুথ অনুযায়ী ভোটযন্ত্র বাছাই হতে পারে। ক’টি বুথের ক’টি ভোটযন্ত্র বাছাই করা হবে, তা নির্ভর করবে পর্যবেক্ষকের সিদ্ধান্তের উপরে। বাছাই করার পরে ভোটযন্ত্রেরঅডিট হবে। এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে জমা পড়া মোট ভোট এবং ভিভিপ্যাটের স্লিপের সংখ্যা মিলিয়ে দেখবেন পর্যবেক্ষকেরা।

যন্ত্রের উপরের ‘রেজাল্ট সেকশন’ আগের মতোই সিল করা থাকবে। ভোট শেষে ওই অংশটি প্রিসাইডিং অফিসারদেরই সিল করে দেওয়ার কথা। যন্ত্রের কন্ট্রোল ইউনিটের উপরে দু’টি বোতাম থাকে। তার একটি হল ভোটারের জন্য ব্যালট নির্দিষ্ট করা এবং দ্বিতীয়টি ‘টোটাল’ (বা যন্ত্রে নথিবদ্ধ মোট ভোটের সংখ্যা)। কোন প্রার্থীর পক্ষে ক’টি ভোট পড়ল, তা এই পদ্ধতিতে দেখা যায় না। ‘টোটাল’ বোতাম টিপেই মোট ভোটের সংখ্যা দেখে নেওয়ার কথা পর্যবেক্ষকদের।

২ মে গণনার সময় ভোটযন্ত্র নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠলে তার আগে পর্যবেক্ষকদের নেওয়া মোট ভোটের হিসেবের সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি, ভোটার রেজিস্টার, নথিভুক্ত ভোট-সংখ্যা (১৭সি), ভোটার স্লিপের সংখ্যা— সবই মিলিয়ে দেখা হতে পারে। মিলে গেলে এটা প্রমাণিত হয়ে যাবে যে, যন্ত্রের সমস্যা নেই।

ভোটগ্রহণের আগে দীর্ঘ ক্ষণের ‘মক পোল’ বা মহড়া ভোট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের ভোটযন্ত্র সম্পর্কে আশ্বস্ত করা হবে। তার পরে শুরু হবে ভোটগ্রহণের মূল পর্ব। ভোটযন্ত্রের ‘কন্ট্রোল ইউনিট’-এর ফল, প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি, ভোটারদের রেজিস্টার, ভোটার স্লিপ এবং ভোটার তালিকায় চিহ্নিত ভোটদাতার সংখ্যা ভোট-অফিসারদের কাছে নথিবদ্ধ থাকবে। সঙ্গে থাকবে ভিভিপ্যাটে জমা থাকা ভোট-স্লিপ। গণনা নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে অথবা অন্য কোনও সমস্যা তৈরি হলে এগুলো মিলিয়ে দেখা হবে। সব হিসেব ঠিক থাকলে ধরে নেওয়া হবে, ভোট-প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও ভুলভ্রান্তি হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy