ফাইল চিত্র।
এক দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্য দিকে শুভেন্দু অধিকারীর মাঝে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করে নিতে পেরেছেন তিনি। নির্বাচনের ফল শেষ পর্যন্ত যা-ই হোক, নন্দীগ্রামের ভোটে তৃতীয় পক্ষকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে। এ বার নন্দীগ্রামের ভোট মিটতেই সেখানকার সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ডাক পড়ছে অন্যত্র জোটের প্রচারে। বড় নেতাদের ছাপিয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রার্থীদের পছন্দের তালিকায় রাতারাতি উপরে উঠে এসেছেন মীনাক্ষী। এমনকি, জোট শিবিরের যে সব নেতা নিজেরা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরাও প্রচারে চাইছেন সিপিএমের যুব নেত্রীকে।
রাজ্যে সিপিএমের যুব সংগঠনের শীর্ষ পদে প্রথম মহিলা মুখ মীনাক্ষীই। দু’বছর আগে লোকসভা ভোটের সময়েও ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রীকে প্রচারের কাজে নামিয়েছিল সিপিএম। তবে এ বার নন্দীগ্রামের মতো বামেদের পক্ষে ‘কঠিন’ আসনে এবং তা-ও আবার মমতা-শুভেন্দুর মতো হেভিওয়েট নেতাদের বিপরীতে মীনাক্ষীর বক্তব্য এবং প্রচারশৈলী নজর কেড়েছে বেশি। সেই কারণেই বাকি পর্বের ভোটের আগে তাঁর কর্মসূচির তালিকা লম্বা হচ্ছে। কিছু কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিতই ছিল। তার সঙ্গেই যোগ হচ্ছে নতুন সূচি।
প্রার্থী তালিকায় নাম ঘোষণার পর থেকে টানা নন্দীগ্রামেই পড়েছিলেন মীনাক্ষী। ওই কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ভোট হয়ে যাওয়ার পরে শুক্রবার সেখান থেকে বেরিয়েছেন সিপিএমের যুব নেত্রী। হুগলির চণ্ডীতলায় সিপিএম প্রার্থী এবং দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের সমর্থনে আজ, শনিবারই প্রচারে যাওয়ার কথা তাঁর। ডানকুনি দিল্লি রোড থেকে পদযাত্রার সূচনায় থাকবেন তিনি। তার পরে যাবেন সিঙ্গুরে সিপিএম প্রার্থী এবং এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে মিছিলে। আবার বিকালে হালতু নন্দীবাগানে সংযুক্ত মোর্চার সভায় তিনি বক্তা। যাদবপুরের প্রার্থী এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর সমর্থনে ওই সভায় থাকার কথা সুশান্ত ঘোষেরও।
জোট সূত্রের খবর, মীনাক্ষীকে প্রচারে পাওয়ার জন্য সেলিম-সুজনদের কাছে অনুরোধ আসছে বিভিন্ন প্রার্থীর তরফে। বিরোধী দলনেতা এবং চাঁপদানির কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল মান্নান তাঁর এলাকায় মীনাক্ষীকে প্রচারে চেয়েছেন। মীনাক্ষী হিন্দিতেও স্পষ্ট বক্তা, সেটাও তাঁর বাড়তি সুবিধা। প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি ও ভবানীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী শাদাব খান যেমন বলছেন, ‘‘কর্মসংস্থান-সহ যে সব দাবি সামনে রেখে আমরা যুবরা লড়াই করছি, সেই কথা মানুষের কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য ভঙ্গিতে পৌঁছে দিতে পারছেন মীনাক্ষী। ভবানীপুর কেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে সভা করতে চাই।’’ আর মীনাক্ষীর বক্তব্য, দলই তাঁকে নন্দীগ্রামে লড়াইয়ের দায়িত্ব দিয়েছিল। দল যা দায়িত্ব দেবে, তা-ই তিনি পালন করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy