নিজস্ব চিত্র
বাংলায় বিজেপি সরকার গড়বেই। সেই প্রত্যয় প্রকাশের পাশাপাশি নতুন সরকারের জন্য এখন থেকেই রাজ্য সরকরারি কর্মীদের কাজ শুরু করার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার হরিপালের সমাবেশ থেকে মোদী বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারে আসার পরে সব চেয়ে আগে কৃষকদের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমন কথা আগেও বলেছেন মোদী। কিন্তু তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে তিনি বললেন, ‘‘বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শপথ অনুষ্ঠানে আমি অবশ্যই আসব। এসে যিনি নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবেন তাঁকে বলব, ভাই দিল্লি থেকে আমায় টাকা পাঠাতে হবে। দ্রুত সেই সিদ্ধান্ত প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই নিয়ে নিন। এটা আমি বলবই।’’
এর পরেই মোদী জানান, তিনি চান দুর্গাপুজোর আগে এত দিন রাজ্যের কৃষকরা ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি’ প্রকল্পের যে টাকা পাননি সেই বাবদ সেই ১৮ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এর পরেই তিনি যেখানে যেখানে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে সেই সব জায়গায় সরকারি কর্মীদের কাজ শুরু করার ডাক দেন। মোদী বলেন, ‘‘সরকারি কর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ, ১০ বছরে যা হয়েছে তা হয়েছে। যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে। এ বার বাংলার মানুষের সেবা করার সুযোগ এসে গিয়েছে। যে সব জায়গায় ভোট হয়ে গিয়েছে সেই সব জায়গায় কৃষকদের তালিকা বানানো শুরু করে দিন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার নম্বর মিলিয়ে দেখে নিন। যাতে সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই টাকা জমার কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।’’
শুক্রবার রাজ্যে প্রচারে এসে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, প্রথম দুই দফায় ভোটগ্রহণ হওয়া ৬০ আসনের মধ্যে ৫০টিতে জয় পাবে বিজেপি। অমিতের বক্তব্যে যে প্রত্যয় দেখা গিয়েছিল তা-ও যেন শনিবার ছাপিয়ে গেলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দু’দফাতেই বিজেপি-র পক্ষে বড় রকমের সমর্থন মিলেছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘২ মে কেমন ফল হবে তা দু’দিন আগেই নন্দীগ্রামে দেখা গিয়েছে। প্রতি দফার ভোটগ্রহণের পরে দিদির ঘাবড়ে যাওয়া বাড়তে থাকবে। আমার উপরে গালি বর্ষণও বাড়তে থাকবে। নির্বাচন কমিশন থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়তে থাকবে।’’
নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের দিন মোদী রাজ্যে দু’টি সভা করেছিলেন। সেই দুই সভা থেকেই তিনি দাবি করেন, বাংলা যা চাইছে তা দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামে। শনিবার সরাসরি বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দিদি, ও দিদি, হার আপনার সামনে। এটা মেনে নিন।’’ ক্রিকেট খেলার প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষের সুরে তিনি এ-ও বলেন যে, ‘‘ক্রিকেটে কোনও খেলোয়াড় বার বার আম্পায়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে বুঝতে হবে, তাঁর খেলায় খুঁত আছে। নির্বাচনে কেউ কখনও ইভিএমকে গালি দিলে, কখনও কমিশনকে গালি দিলে, বুঝতে হবে তার খেলা শেষ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy