প্রস্তুতি: ভোটের কাজে যাওয়ার জন্য ডাকা হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। শুক্রবার, হেস্টিংস হাউসে। ছবি: সুমন বল্লভ
প্রথম তিন দফার ভোটে প্রায় আট জন প্রার্থী নিগৃহীত বা আক্রান্ত হয়েছেন ভোটগ্রহণের দিন। কোথাও প্রার্থীর মাথায় পড়েছে বাঁশের ঘা, কোথাও আবার চড় মারা হয়েছে প্রার্থীকে। এমনকি, প্রার্থীর গাড়িও বাদ যায়নি ভাঙচুরের হাত থেকে। এমন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ, শনিবার চতুর্থ দফায় কলকাতা পুলিশের অধীন যে এলাকাগুলিতে ভোট, সেখানে যাতে প্রার্থীরা আক্রান্ত না হন, তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, আজ যে যে থানা এলাকায় ভোট, প্রার্থীদের নিরাপত্তা গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হয়েছে সেই সব থানাকে। কোথাও কোনও প্রার্থী বিক্ষোভ বা ঘেরাওয়ের মুখে পড়লে তাঁকে দ্রুত সেখান থেকে বার করে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে।
এমনিতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বিশেষ নিরাপত্তা পান। তা সত্ত্বেও ভোটগ্রহণের দিন একাধিক জায়গায় তাঁদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই লালবাজার সাধারণ নিরাপত্তার বাইরে প্রার্থীদের সুরক্ষার উপরে জোর দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এক পুলিশকর্তা জানান, ভোট নিয়ে বৈঠকে শীর্ষ কর্তারা এই বিষয়টিতে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। তাঁর দাবি, গোলমাল ঠেকাতে এমনিতেও বিরাট বাহিনী মোতায়েন থাকছে। ফলে কোথাও গোলমালের খবর পেলে তারা দ্রুত সেখানে পৌঁছে যেতে পারবে।
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের বাইরের যে অংশ, সেখানে নজরদারির দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের। ২০০ মিটারের মধ্যে কিছু ঘটলে তা সামাল দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর। পুলিশের দাবি, বাইরের অংশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে তারা প্রস্তুত।
লালবাজার সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কলকাতা পুলিশের মহিলা কর্মীরা ছাড়াও শহরের ভোটে আনা হচ্ছে রাজ্য পুলিশের ৩০০ জন মহিলা কনস্টেবলকে। বিধাননগর কমিশনারেটের ৮০ জন মহিলা পুলিশকর্মীর একটি দল বৃহস্পতিবারই চলে এসেছে লালবাজারে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে হাওড়ার ডুমুরজলায়। শুক্রবার পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া থেকে বাকি মহিলা পুলিশবাহিনীও চলে এসেছে। তাদের ডিউটিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। মূলত কলকাতা পুলিশের মহিলা বাহিনীর ঘাটতি মেটাতেই এই অতিরিক্ত কনস্টেবলদের রাজ্য পুলিশ থেকে আনা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটে ডিউটি করার জন্য আনা হয়েছে এই মহিলা বাহিনীকে। ভোটের দিন থানার অফিসারের নেতৃত্বে ‘মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সে’ থাকবেন তাঁরা। পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে যে এলাকাগুলিতে নাকা-তল্লাশি শুরু হয়েছে, সেখানেও কাজে লাগানো হচ্ছে রাজ্য পুলিশের মহিলা কনস্টেবলদের। বিভিন্ন এলাকায় বসানো মহিলা পুলিশ পিকেটেও থাকছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এ বার কলকাতা পুলিশ এলাকায় মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতা পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, তাদের এলাকায় মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬। মোট বুথ রয়েছে ৫৮১টি। ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তায় রাখা হচ্ছে দু’কোম্পানি মহিলা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy