মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষের ‘রোড শো’। নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করে যাওয়ার একদিন পরেই মেদিনীপুর জেলায় নির্বাচনী প্রচারে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শনিবার খড়গপুর শহরে বিজেপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা এবং ঝাড়গ্রাম জেলার ১৯ জন প্রার্থীদের নিয়ে সভা করেছিলেন মোদী। সে দিনের সভায় ওই সব কেন্দ্র থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন যারা যেতে পারেননি, তাঁদের জন্য ‘রোড শো’ করে দলের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার সকাল থেকেই দাঁতন, কেশিয়ারি, নারায়ণগড় বিধানসভা কেন্দ্র প্রায় ১৩ কিমি রাস্তায় হুড খোলা গাড়িতে প্রার্থীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ান দিলীপ। তৃণমূল প্রভাবিত এলাকাতেই মূলত এদিন প্রচারে জোর দেয় বিজেপি। নারায়ণগড় এলাকায় রোড শো চলাকালীন দেখা যায় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান লেখা পোস্টার। কেন্দ্রের প্রার্থী রমা প্রসাদ গিরিকে উদ্দেশ করে লেখা রয়েছে ‘পালটিবাজ রমা গো ব্যাক’। উল্লেখ্য গতবছর ১৯ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত রমাপ্রসাদ মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপি-তে যোগদান করেন। ওই দিন শুভেন্দুও বিজেপি-তে যোগদান করেছিলেন।
দাঁতন বিধানসভার দিঘাপুকুর থেকে সাউরি পর্যন্ত রোড শো করেন দিলীপ। পরে নারায়ণগড়ের বাখরাবাদ থেকে আকন্দা পর্যন্ত ‘রোড শো’তে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিলীপের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাসকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থী শুরু করে দেন ‘রোড শো’। প্রায় দেড় কিলোমিটার এগিয়ে যাওয়ার পর ‘রোড শো’-তে গিয়ে যোগ দেন দিলীপ। পরে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে দুপুরে খাওয়ার পর বিকেলে কেশিয়াড়ি বিধানসভার দাঁতন এলাকায় ফের ‘রোড শো’ শুরু করেন তিনি।
দিলীপ বলেন, ‘‘একবার আমাদের সেবা করার সুযোগ দিন। বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৫৫টা আসনে বিজেপি জিতবে। মন্ত্রী হয়ে গাড়িতে ঘোরার জন্য নয়, মানুষের সেবা করার জন্য বিজেপি-র প্রার্থীরা কাজ করবেন। লাল রাস্তা পাকা হবে।’’ কেন ৭৫ বছরেও হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘চিকিৎসা করাতে দিল্লী, চেন্নাই, ওড়িশা যেতে হবে না, বাংলাতেই চিকিৎসা হবে। উন্নয়নের জন্য ডবল ইঞ্জিনের সরকার করতে চাই।’’
প্রার্থী রমাপ্রসাদ বলেন, ‘‘আম্পান ও বন্যার সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন এই সব এলাকার কৃষকেরা। কিন্তু তাঁদের সঠিক ক্ষতিপূরণ মেলেনি।’’ যদিও রমাপ্রসাদ তখন তৃণমূলের জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে যেমন তালিকা এসেছিল তেমন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। ৫০০-১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের কৃষকদের জন্য বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা। কিন্তু এ রাজ্যে তা কার্যকর হয়নি। বিজেপি সরকারে এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিন বছরের ১৮ হাজার টাকা কৃষকদের পৌঁছে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy