শ্রীকান্ত রায়। —নিজস্ব চিত্র।
দোলের দিন এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল ধূপগুড়ির এক বিজেপি নেতা বিরুদ্ধে। সোমবার ওই ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। রাতেই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে। ভোটের আবহে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি তৃণমূল। ঘটনার নিন্দা করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে অভিযুক্তের থেকে দূরত্ব তৈরিতে সচেষ্ট হয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, অভিযুক্তের সঙ্গে বিজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গোবিন্দ পল্লী এলাকার সোমবার রাতে ওই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দোলের দিন এলাকার ৯ বছরের এক নাবালিকাকে নিজের ঘরে জোর করে টেনে নিয়ে যান শ্রীকান্ত রায় নামে বিজেপি-র এক বুথ সভাপতি। কার পর ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। তবে কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই মেয়েটি। বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনাটি নিজের পরিবারের লোকজনের কাছে খুলে বলে সে। এ নিয়ে সোমবার রাতেই ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই মেয়েটির পরিবার। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকান্তকে রাতেই আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুলিশের কাছে বয়ানে ওই পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার সময় ধস্তাধস্তিতে নাবালিকার দেহের একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
বছর পঁয়ত্রিশের অভিযুক্ত শ্রীকান্তর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের ধূপগুড়ির টাউন ব্লক সভাপতি দেবদুলাল ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি-র বুথ সভাপতি। সোমবার নাবালিকাকে তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। প্রশাসনের তরফে নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হচ্ছে। আমরা চাই দোষী ব্যক্তির কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা হোক। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করার সাহস না পায়।’’
তৃণমূলের অভিযোগ সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিকে নিজেদের দলের সদস্য বলে মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি নেতা চন্দন দত্তের দাবি, ‘‘যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, সে ভারতীয় জনতা পার্টির কেউ নয়। আজকাল কাতারে কাতারে মানুষ বিজেপি-র কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। কেউ দলীয় মিছিলে বা সভায় আসছে বলেই তার মানে এই নয় যে সে বিজেপি-র বুথ সভাপতি। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায় নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছেন। আমরা দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy