ব্রহ্মপুরের একটি বুথের বাইরে এক ‘ভুয়ো ভোটার’কে ধরেছেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
এক জন সারা দিন বাড়িতে। অন্য জন ছুটলেন বুথ থেকে বুথে।
ছুটে বেড়ানোর দাবি, ‘ভুয়ো ভোটার’ ধরেছেন তিনি। বাড়িতে বসার দাবি, গোটাটাই সাজানো ঘটনা।
টান টান এই ভোটে টালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কেন বাড়িতে বসে? অরূপ বিশ্বাসের জবাব, ‘‘আমি ভোটের সময়ে বাড়িতেই থাকি। টিভি দেখি। সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। মানুষের জন্য কাজ করি। তাই ভোটের দিন বুথে গিয়ে ভোটারদের অসুবিধা করতে চাই না।’’
বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য বসে থাকার বান্দা নন। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ব্রহ্মপুরে একটি ভোটার কার্ড দেখিয়ে অভিযোগ করেন, সেটি স্থানীয় দুষ্কৃতী উল্লার মায়ের ভোটার কার্ড। এই উল্লা অরূপ বিশ্বাসের ডান হাত। উল্লার মা মারা গিয়েছেন। তার ভোটার কার্ড নিয়ে এক বয়স্কা মহিলা ভোট দিতে এসেছিলেন। বাবুল বলেন, ‘‘তৃণমূলই ওই মহিলাকে জোর করে ভোট দিতে পাঠিয়েছে। এটাই ওদের সংস্কৃতি। ওই মহিলা কার্যত আমার পায়ে ধরে বলেন, আমাকে বাঁচান। পুলিশে দেবেন না। আমি ওই মহিলাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।’’
ব্রহ্মপুরের ওই বুথের বাইরে তখন প্রবল উত্তেজনা। জড়ো হয়ে গিয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের ওই কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, ‘‘মহিলাদের ধাক্কা মেরেছেন বাবুল। ভোটারদের কার্ড কেড়ে নিয়েছেন।’’ বাবুলের পাল্টা দাবি, ‘‘উল্লার মহিলা সঙ্গীরা উল্লার মায়ের ভোটার কার্ডটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কারণ, ওটাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আমি তাই ওই ভোটার কার্ডটি ওদের থেকে নিয়ে নিয়েছি।’’ তবে এই বিষয়ে পুলিশ বা নির্বাচন কমিশনে তিনি অভিযোগ জানাবেন না বলে জানিয়েছেন বাবুল।
সব অভিযোগ উড়িয়ে অরূপ বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দিয়েছে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাবুল সারা দিন মিডিয়াকে নিয়ে ঘুরেছেন। কোনও খাদ্য পাননি। তাই চিত্রনাট্য অনুযায়ী নাটক করছেন।’’ তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, উল্লা ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি। এক জন রাজনৈতিক কর্মীকে দুষ্কৃতী বলছেন বাবুল। অরূপের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। দূরত্ব-বিধি বজায় থাকবে!’’
ব্রহ্মপুরের এই কাণ্ড এবং সামান্য কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া টালিগঞ্জের ভোট মোটের উপরে শান্তিপূর্ণ বলে জানালেন সিপিএম প্রার্থী দেবদূত ঘোষ। সকাল থেকে তিনি চরকি কেটেছেন বুথে-বুথে। আজাদগড় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে দাঁড়িয়ে অভিনেতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের লোকেদের সঙ্গে কফি এবং বিজেপির লোকেদের সঙ্গে কেক খেয়েছি।’’ আর দুপুরের খাওয়া দেবদূত সেরেছেন বাল্যবন্ধু সুমন দাসের বাড়িতে। মেনুতে ছিল ভাত-ডাল, আলুসেদ্ধ এবং ওমলেট।
টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেরই ভোটার পাওলি দাম, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো টলি-তারকারা। নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে হাওড়ার শ্যামপুরের বিজেপি প্রার্থী তনুশ্রী বললেন, ‘‘ভোট হোক করোনা-বিধি মেনে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy