রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
নিজের গড় ধরে রাখতে পারেননি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বাম-আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট গড়েও ভাঁড়ার শূন্য। কিন্তু নীলবাড়ির লড়াইয়ে এত বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে কংগ্রেসে যে, সংযুক্ত মোর্চা যেখানে যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, তার মধ্যে ৮৫ শতাংশ জায়গাতেই প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে তাঁদের। এর মধ্যে রয়েছে, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং গোয়ালপোখর কেন্দ্র দু’টিও, যেখানে গত ১৪ এপ্রিল খোদ রাহুল গাঁধী এসে দলের হয়ে প্রচার সেরে গিয়েছিলেন।
সংযুক্ত মোর্চায় আব্বাস সিদ্দিকির দলের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিল কংগ্রেস। এমনকি ব্রিগেডের সভায় আব্বাসকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে প্রকাশ্যেই অসন্তুোষ প্রকাশ করে ফেলেছিলেন অধীর। তার পরেও তাঁদের টপকে আইএসএফ একটি আসন পেয়ে গিয়েছে। হাড়োয়া, বসিরহাট উত্তর, দেগঙ্গা এবং ক্যানিং পূর্বে বিজেপি-কেও পিছনে ফেলে দিয়েছে তারা।
কিন্তু বাম এবং কংগ্রেসের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম যে হিসেব এনেছে, তা অনুযায়ী, যে ২৯২ আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে রবিবার, তার মধ্যে ৪২টি আসন বাদ দিয়ে সর্বত্রই জামানত বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে কংগ্রেস প্রার্থীদের।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের যে টাকা জমা দিতে হয়, তাকেই জামানত বলা হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর যদি দেখা যায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থী ওই কেন্দ্রে জমা পড়া মোট ভোটের ১৬.৫ শতাংশ ভোটও পাননি, সে ক্ষেত্রে ওই টাকা আর ফেরত পান না তিনি। দীর্ঘ এক দশক মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে ছিল। কিন্তু এ বার সেখানে হেরে গিয়েছেন শঙ্কর মালাকার। মোটে ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। গোয়ালপোখরের কংগ্রেস প্রার্থী মাসুদ মহম্মদ নাসিম এহসান পেয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট। ২০০৬ থেকে ২০০৯ এবং ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই আসন কংগ্রেসের দখলে ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy