জাকির হোসেন ও ইমানি বিশ্বাস।
হাসপাতাল থেকে রঘুনাথগঞ্জে পা রেখেই নিমতিতা বিস্ফোরণ নিয়ে নাম না করে সুতির তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে বিঁধলেন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। জাকিরের দাবি, কিছু নিশ্চয়ই আছে বলেই নিমতিতা-কাণ্ডে ইমানিকে বার বার ডাকছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাচক্রে, রবিবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমানিকে তলব করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। যদিও জাকিরের ইঙ্গিত উড়িয়ে দিয়ে ইমানির দাবি, তিনিও চান সত্য প্রকাশ্যে আসুক।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিস্ফোরণের কবলে পড়েন জাকির। তার পর থেকে তিনি ভর্তি ছিলেন কলকাতার হাসপাতালে। রবিবার হেলিকপ্টারে তিনি পৌঁছন রঘুনাথগঞ্জে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমার কোনও শত্রু নেই। কিন্তু যাঁরা আমাকে শত্রু ভাবেন, তাঁদের কঠোরতম শাস্তি হোক। কে মেরেছে, আপনারা জানতে পারছেন। দোষী সাব্যস্ত হয়নি। কিন্তু কাউকে ডাকা হচ্ছে। বার বার ডাকা হচ্ছে। নিশ্চয় কিছু আছে। না হলে কেন ডাকা হচ্ছে? দোষী হলে সাজা পাওয়া উচিত।’’
ঘটনাচক্রে, রবিবারই ইমানিকে তলব করেছে এনআইএ। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। এর আগে গত ১৮ মার্চ ইমানিকে দু’দফায় প্রায় ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু ইমানির কথায় তদন্তকারীরা ‘সন্তুষ্ট’ নন বলে জানা গিয়েছে। তাই নির্বাচনের মধ্যেই ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। জাকিরের অভিযোগ নিয়ে ইমানির সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘জাকির কী বলেছেন জানি না। আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। আমিও চাই দোষীদের শাস্তি হোক।’’
নিমতিতা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ইতিমধ্যে সুতির বাসিন্দা আবু সামাদ এবং শহিদুল ইসলাম নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। পরে ওই কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। অভিযোগ, মন্ত্রী ট্রেন ধরবেন জেনে আবুই প্ল্যাটফর্মে বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ রেখে দেন। হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন শহিদুলও। ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে ইমানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠায় এনআইএ। যদিও, নিমতিতা কাণ্ডে ইমানির কী ভূমিকা তা স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy