চাদরে ঢাকা তৃণমূল কর্মীর দেহ। নিজস্ব চিত্র।
শীতলখুচি এবং দিনহাটার পর কোচবিহার জেলায় এ বার রাজনৈতিক হিংসার বলি তুফানগঞ্জে। মঙ্গলবার রাতে তুফানগঞ্জের চিলাখানা এলাকায় তৃণমূলের এক কর্মীকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। শাসকদলের মৃত কর্মীর নাম শাহিনুর রহমান (৩২)। যদিও শাহিনুরকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই কোচবিহার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৪০টি বাইক নিয়ে বিজেপি-র গুন্ডা বাহিনী চিলাখানা এলাকায় তাণ্ডব চালায়। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে। তখন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন শাহিনুর। বুধবার সকালে চিলাখানা এলাকায় চাষের জমি থেকে শাহিনুরের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শাহিনুর রহমানের কাকা জাহিদুল হক বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা শাহিনুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। বার বার ফোন করলেও পুলিশ সঠিক সময়ে আসেনি।’’ শাহিনুরের স্ত্রী নাহিদা পারভিন বলেছেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ফোন আসার পর বেরিয়ে যায়। পৌনে ৮টা নাগাদ জানায়, একটু পরে আসছি। কিন্তু তার পর সারা রাত ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি।’’
এই ঘটনার পর নাটাবাড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘‘চিলাখানা এলাকায় আমাদের কর্মী শাহিনুরকে নৃশংসভাবে খুন করেছে বিজেপি-র গুন্ডারা। আমাদের আর এক কর্মী প্রসেনজিৎ সাহা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ফল ঘোষণার পর থেকেই জেলা জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি।’’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত এবং ঘরছাড়া হয়েছেন। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। পুলিশের কাছে আবেদন, এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy