বিট্টু: ছোটবেলায় ছবিতে অভিনয় করার সময় টাইটেল কার্ডে নাম যেত ‘মাস্টার বিট্টু’। পরে অবশ্য নিজেই অভিনয়ে ‘মাস্টার’ হয়ে ওঠেন। তবে এখন নামের পাশে সেটা আর দেখা যায় না।
বিট্টু থেকে বিচ্ছু: স্ত্রী এবং দুই পুত্রকে নিয়ে সংসার। এবং সেই দুই ছেলেই নাকি প্রবল বিচ্ছু। অতীব দুরন্ত। শাসন-টাসন বিশেষ মানে না। বিট্টুর মতো শান্তশিষ্ট এবং সুবোধ বালক নয়।
সিক্যুয়েল: ‘ডন’ এবং ‘ডন ২’। সিনেমা নয়। জীবনের সিক্যুয়েল। দুই ছেলেকে এই নামেই ডাকেন বাবা। কারণ, ‘ডন কো পকড়না মুশকিলই নহি, না মুমকিন হ্যায়!’
চেটে চেটে খাব: ছোটবেলায় হরলিক্স খেতে খুবই ভালবাসতেন। ‘ছোটবউ’ ছবিতে অমর হয়ে রয়েছে তাঁর সংলাপ— ‘‘মা একটু হরলিক্স দাও না। চেটে চেটে খাব।’’ তবে শুধু হরলিক্স নয়, কমপ্ল্যান, বোর্নভিটাও ছিল প্রিয়। তবে হরলিক্স তাঁর পিছু ছাড়েনি। বড় হয়ে টলিউডে পৌঁছেও শুনতে হয় হরলিক্স-রসিকতা। বড়রা এখনও সুযোগ পেলেই ঠাট্টা করেন ওই সংলাপ নিয়ে।
জয় কালী: বাড়িতে মা কালীর বিশাল ছবি আছে। কিন্তু বাইরে? যেখানেই যান না কেন, দেবী সঙ্গে না থাকলে সাহস পান না। তাই মা কালীর ছোট ছবি বাঁধিয়ে ব্যাগে রেখে দিয়েছেন। রোজ রাতে ঘুমনোর আগে সেই ছবি রেখে দেন মাথার কাছে। সকালে উঠে প্রণাম করে দিন শুরু করেন। মায়ের ছবি নিয়ে প্রচারেও বেরোচ্ছেন। রাখে কালী, মারে কে!
ব্যোম শঙ্কর: মা কালীর পাশাপাশিই অবশ্য শিবঠাকুরেরও ভক্ত। তা তো বটেই। ইফ কালী কাম্স, ক্যান শিব বি ফার বিহাইন্ড? আর শিবঠাকুরের আপন দেশে আইনকানুনও তো সর্বনেশে। সোহম অবশ্য মনে মনে আওড়াচ্ছেন, ‘জয় জয় শিবশঙ্কর, কাঁটা লাগে না কঙ্কর’। শিবঠাকুর সঙ্গে থাকলে পথের কোথায় কাঁটা। আর কোথায়ই বা কাঁকর!
সব খেলার সেরা: বাঙালির তুমি ফুটবল। ক্রিকেট নয়, ছোট থেকে বেশি প্রিয় ফুটবলই। প্রিয় ফুটবলার অনেকে। তালিকার শেষ নেই। ছোটবেলায় দিনে ফুটবল, রাতে ফুটবল আবার ভোরবেলা বন্ধুদের ডাকে মাঠে হাজির ফুটবল পেটাতে।
ঘুরে আসি: ভালবাসেন বেড়াতে। সমুদ্র নয়, পাহাড় বেশি পছন্দের। কারণ, পাহাড় খুব শান্ত। ছোট থেকেই পছন্দের জায়গা দার্জিলিং। বড় হয়ে সিকিম বা হিমালয়ের অন্য জায়গায় গিয়েছেন। আর বিদেশের পাহাড়ের মধ্যে পছন্দ ইতালির আল্পস।
পথের সাথী: চণ্ডীপুরে মাটির সরু রাস্তা। গাড়িতে ঘোরা যায় না। তাই প্রচুর হাঁটছেন। দরকার মতো মোটরবাইকে সওয়ার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলছেন। রোদে রোদে ঘুরলেও সঙ্গে অতিরিক্ত পোশাক রাখছেন না। রোদে-ধুলোয়-ঘামে ভেজা পরিধেয় পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন সারাদিন।
ছত্রপতি: একেকদিনে ঘুরছেন ২০-২২টা বুথ। সকাল ৯টায় শুরু। শেষ রাত সাড়ে ৯টা-১০টায়। বাড়ি ফিরে ঘুমোতে ঘুমোতে রাত আড়াইটে-তিনটে। আবার পরদিন সকাল ৭টায় ঘুম থেকে ওঠা। সারা দিন রোদে ঘোরাঘুরি। প্রচার করতে গিয়ে জ্বর বাধিয়েছিলেন। তাই চিকিৎসক বলেছেন, রোদ বাঁচিয়ে ঘুরতে। আপাতত ছাতা মাথায় বা বাড়ির ছায়ায় ছায়ায় চলছে হাঁটা।
ঠাঁইবদল: গতবার বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে হারার পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর। গতবার হেরেছিলেন। কিন্তু তার পর ময়দান ছেড়ে যাননি। বুঝিয়েছেন, তিনি শখের রাজনীতিক নন। দেখা যাক, চণ্ডীপুরের মা চণ্ডী তাঁর সহায় হন কি না।
বাংলা নিজের ছেলেকেই চায়: ‘ঘরের ছেলে’ হতে হবে। তাই সাজগোজ নেই। বলছেন, মানুষের পাশে থাকার জন্য সেজেগুজে আসার দরকার নেই। পর্দার তারকা। তাই মানুষের সঙ্গে একটা দূরত্ব ছিল। সেটা কাটিয়ে ফেলাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। খাওয়াদাওয়াও করছেন গেরস্থের বাড়িতে। ডায়েট-টায়য়েটের দিন গিয়াছে। যা পাচ্ছেন, সকলের সঙ্গে ভাগ করে খাচ্ছেন।
শুনতে পেলাম পোস্ত গিয়ে: পোস্ত আর ডাল দিয়ে এক থালা ভাত সাপটে খেতে পারেন। খেতে ভারী ভালওবাসেন। বাঙালি খাবারই সবচেয়ে প্রিয়। দেশি মুরগির মাংসের ঝোল পেলে? আহা!
নেশা: একটাই। সিনেমা দেখা। কাজের চাপে অনেক দিন দেখা হয়নি।
আয় না দেখি: যাওয়া-আসার ফাঁকে কানে হেডফোন। অনবরত কিশোর কুমারের গান। তা, ভোটের হাওয়ায় কিশোরের কোন গানটা বেশি শুনছেন? ‘আ দেখে জরা, কিসমে কিতনা হ্যায় দম’!
তথ্য: স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, রেখাচিত্র: সুমন চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy