Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
TMC

Bengal Polls: রুদ্রনীল ঘোষের ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ, বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত চেতলা

২৬ এপ্রিল ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট। তার আগে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সংঘর্ষে অশান্ত হল খাস কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা।

চেতলায়  বিজেপি-ত়ৃণমূল সংঘর্ষ।

চেতলায় বিজেপি-ত়ৃণমূল সংঘর্ষ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২১ ০০:২২
Share: Save:

ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বিজেপি-ত়ৃণমূল সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল দক্ষিণ কলকাতার চেতলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বৃহস্পতিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় চলে চেতলা মোড় অবরোধ। গোটা ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল— দু’পক্ষই।

বৃহস্পতিবার চেতলায় রুদ্রনীলের একটি ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। তৃণমূলের কর্মীরাই ওই ব্যানার ছিঁড়েছেন বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ করার জন্য চেতলা থানায় যাওয়ার পথে পরিস্থিতি ফের এক দফা উত্তপ্ত হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয় তৃণমূল। এর পর দু’পক্ষের স্লোগান-পাল্টা স্লোগান, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ সংঘর্ষের চেহারা নেয়। শুরু হয় ইট-বৃষ্টি। চেতলা মো়ড়ে একাধিক গাড়িতে চলে ভাঙচুর। দু’পক্ষই দফায় দফায় চেতলা মোড় অবরোধ করে। গোটা ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়েওঠে চেতলা।

প্রসঙ্গত, নীলবাড়ির লড়াইয়ে এ বার নন্দীগ্রামের প্রার্থী হলেও মমতা বরাবরই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন। সেই এলাকা থেকে অনতিদূরেই চেতলা। তা ছাড়া, চেতলা রাজ্যের বিদায়ী পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের নিজের পাড়াও বটে। বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম দফায় ২৬ এপ্রিল ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট। তার আগে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সংঘর্ষে অশান্ত হল খাস কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা।

এই ঘটনায় পর তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে পিস্তল, লাঠি নিয়ে হামলা চালানোর এবং মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন রুদ্রনীল। রুদ্রনীলের দাবি, প্রচার সেরে ফেরার পথে দলের কর্মী-সমর্থক এবং তাঁর উপর হামলা চালান তৃণমূল সমর্থকেরা। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এই হামলায় তাঁর দলের ১৫ জন জখম হয়েছেন। রুদ্রনীলের আরও দাবি, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘পিস্তল, বন্দুক, লাঠি নিয়ে এসে হুমকি দেয় তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রায় আ়ড়াইশো জন ছেলে মিলে হামলা চালায়। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেয়। কিছুদিন আগে গোপালপুরেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। আজ মহিলারা রুখে না দাঁড়ালে ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারত। এদের দোষটা কী, শুধু বিজেপি-কে সমর্থনই কী রোষের কারণ?’’

তবে এর পাল্টা হিসাবে চুপ থাকেনি তৃণমূলও। তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায়ের দাবি, প্ররোচনা দিয়ে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাপস বলেন, ‘‘অভিযোগ-নালিশের পার্টি হয়ে গিয়েছে বিজেপি। আসলে ওরা লাগাতার প্ররোচনা দিয়ে চলেছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ভিন্‌ রাজ্য থেকে এখানে লোকজন ঢুকিয়ে বাংলার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE