প্রতীকী ছবি।
ফের প্রার্থী বদল তৃণমূলে। এ বার প্রার্থী বদল হল বীরভূম জেলার মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের। ঘোষিত প্রার্থীর বদলে এ বার প্রার্থী হলেন মোশাররফ হোসেন। আগে ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল বর্তমান বিধায়ক আব্দুল রহমান ওরফে লিটনকে।
গত ৫ মার্চ কালীঘাটের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসনে বিদায়ী বিধায়ককেই প্রার্থী করেন। কিন্তু শনিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তৃণমূল শিবির জানিয়ে দিল প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্তের কথা।
নাম ঘোষণার পর থেকে প্রায় ২৮ দিন ধরে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক। কিন্তু কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই প্রার্থী বদল করা হল।
বিজেপি শিবির গত কয়েক দিন ধরে মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়ার দাবি করেছিল। তাদের দাবি ছিল, নন্দীগ্রামে নিশ্চিত হার জেনেই এবার বিকল্প হিসেবে মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন মমতা। কিন্তু, শনিবার প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কার্যত বিজেপির সেই দাবি উড়িয়ে দিল জোড়াফুল শিবির। তবে কেন এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করা হল, তার কোনও ব্যাখ্যা তৃণমূল নেতৃত্ব দেয়নি।
শুধু মুরারই নয়, এর আগে ১৯ মার্চ ৪টি আসনে প্রার্থী বদল করেছিল তৃণমূল। সে বার কল্যাণীতে রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে তাঁর পুত্র অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, আমডাঙা থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী মোর্তাজা হোসেনকে সরিয়ে বিদায়ী বিধায়ক রফিকুর রহমান, অশোকনগরে বিদায়ী বিধায়ক ধীমান রায়ের বদলে নারায়ণ গোস্বামী ও বীরভুমের দুবরাজপুরে অসীমা ধীবরের বদলে দেবব্রত সাহাকে প্রার্থী করা হয়। তারপর দোলের দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি আসনে প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে তৃণমূল শিবির। ওই আসনে ঘোষিত প্রার্থীর বদলে প্রার্থী করা হয় রাজেন সুনদাস। প্রথমে ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল ৭২ ঘন্টা আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায়কে। শনিবার রাতে ষষ্ঠ আসনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঘোষণা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy